Description
বটতলার থিয়েটার
বিনয় ঘোষ
সারাংশ:-কলকাতা কালচারের আদিপর্বে ধনিক বাবু প্রধান সুতানুটির স্বাভাবিক ছিন ছিল অত্যন্ত বেশি। সেই টানে কলকাতার থিয়েটারও ওই দিকে এগিয়ে গেছে এবং বটতলার বুকে তার বিকাশ হয়েছে। কবি, খেউড়, আখড়াই, বাইনাচ, ভাঁড়নাচ ইত্যাদি বাৎসরিক পূজা- পার্বণ উৎসব- অনুষ্ঠানে বাবুদের হলঘরে ও নাচঘরে ক্রমে আধা- থিয়েটারের রূপ নিয়েছে। রাসলীলায়, রথযাত্রায়, দোলযাত্রায় ও দুর্গোৎসবে এই নাচ-গানের আসর সরগরম হয়ে উঠেছে।
ব্রিটিশ আমলের বাঙালি বড় লোকেরা কলকাতার উৎসবাদিতে অপরিমিত ব্যয় করতে থাকেন, অনেকটা মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের অনুকরণে। শোভা বাজারের রাজবাড়ি, ঠাকুরবাড়ি, সিংহবাড়ি, মল্লিকবাড়ি, দে- সরকারের বাড়ি, ভূ- কৈলাস বাড়িতে তখন পাল্লা দিয়ে পুজো, বিয়ে, শ্রাদ্ধ, গৃহপ্রবেশ ইত্যাদি হত। এইসব মহাবাবুদের বাড়ির বৈঠকখানা, বাগানবাড়ি, হলঘর, পূজামণ্ডপ, নাচঘর এইভাবে প্রায় রঙ্গালয় হয়ে উঠল।
নৃত্য-গীতাদির শেষে ভাঁড়েরা সং সেজে আমোদ করেন এবং তার মধ্যে একজন গোরুর বেশ ধারণ করে হাম্বা-হাম্বা রব করে যখন ঘাস চর্বণ করতে থাকেন, তখন উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এই ভাঁড়ামিকে আমরা আধুনিক রঙ্গালয়ের প্রসব বেদনা বলতে পারি।
রঙ্গালয়ের আগের কথা। কবিগান ও যাত্রাগানেরও রূপ বদলাতে লাগল। ইংরেজদের থিয়েটারে এবং বড় বাবুদের নাচঘরে ও পূজা মণ্ডপে তার ককটেল- রূপ দেখে এ দেশি যাত্রা ও কবিগান চরম বিকৃতির পঙ্ককুণ্ডে হাবুডুবু খেয়ে বিলুপ্তির পথে এগিয়ে গেল। কতশত এ দেশি লোক প্রতিভা, লোক কবি ও লোকশিল্পী যে কলকাতার হঠাৎ- বড়লোকদের নব্য ক্যালকাটা কালচার- এর তীব্র ঝাঁঝ সহ্য করতে না পেরে একেবারে নিশ্চিন্ত হয়ে গেল, তার ঠিক নেই।
বাংলার শত শত লোককবি ও শিল্পী শোভা বাজারে, চোরবাগানে, পাথুরিয়া ঘাটায় ও বটতলায় এসে অকাল অপমৃত্যু বরণ করেছে। তাদের কোনো ইতিহাস লেখা নেই। নিকি বাইজিদের হাজার টাকা মাইনে হল, ইংরেজদের থিয়েটারের অধ্যক্ষ, অভিনেতা-অভিনেত্রীরা উচ্চবেতনে অভিনয়শিক্ষক নিযুক্ত হলেন এবং শিশুরাম, গোবিন্দ, পরমানন্দ, বদন, কৃষ্ণকমল, প্রেমানন্দ অধিকারী ও গোপাল উড়েদের বংশধরেরা একেবারে উচ্ছন্নে গেল।
NOTE- ৯ পৃষ্ঠার ‘বটতলার থিয়েটার’ শিরোনামের সম্পূর্ণ রচনাটি পাঠ করতে উপরের লিংক থেকে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করুন
Be the first to review “বটতলার থিয়েটার”