Description
গণিকাগমন বা পতিতাগমন
গণিকাগমন এবং গনোরিয়া, সিফিলিস ও এইডস
অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রবন্ধের সারাংশ:-দেবাশিস বসু রচিত ‘কলকাতার যৌনপল্লী’ নামক গ্রন্থ থেকে জানা যায়- ১৮৫৩ সালে কলকাতা শহরে ৪০৪৯ টি গণিকালয় ছিল, যাতে বাস করছিলেন ১২,৪১৯ জন যৌনকর্মী। ১৮৬৭ সালে ছিল ৩০,০০০ জন। ১৯১১ সালের আদশুমারি অনুযায়ী ১৪২৭১ জন। ১৯২১ সালের আদমশুমারিতে অনুযায়ী ১০,৮১৪ জন যৌনকর্মী ছিল কলকাতায়। প্রকৃত সংখ্যা হয়তো আরও বেশি হবে। বিনয় ঘোষ তাঁর কলকাতা শহরের ইতিবৃত্ত’- এ লিখেছেন কলকাতায় খুবই রমরমা ছিল গণিকাদের জগৎ।
আরও পড়ুন- রতি রঙ্গিণী
এক দশক আগে টিভি থেকে শুরু করে খবরের কাগজ কিংবা রেডিয়ো অথবা হোর্ডিং সব ধরনের গণমাধ্যমে দেখা যেত বুলাদিকে। সরকারি এই অ্যানিমেটেড চরিত্রটি এইচআইভি আর এইডস সংক্রমণ নিয়ে অবিরাম সচেতনতার বার্তা বিলিয়ে চলতেন ১৯৯৮ সাল থেকে।
গণিকালয়ে পৌঁছে যদি দেখত সঙ্গে কন্ডোম নেই, তাহলে যৌনকর্মীর কাছে না গিয়ে বলা হচ্ছিল “চলো, এক দান লুডো খেলি”। কিন্তু গত আট বছরে আর দেখা যায়নি তাঁকে। ২০০৮ থেকে আচমকাই গায়েব হয়ে গিয়েছেন ‘পাশের বাড়ির মেয়ে’র মোড়কে পেশ করা রাজ্য এইডস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ সমিতির ওই দূতকে।
আরও পড়ুন-আদিম খেলা
ঊনবিংশ শতাব্দী থেকেই কন্ডোম ব্যবহার সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় জন্মনিরোধ পদ্ধতি। আধুনিক সমাজে কন্ডোমের ব্যবহার ব্যাপক মান্যতা লাভ করেছে। প্রাচীন সভ্যতা গুলিতে কন্ডোমের ব্যবহার প্রচলিত ছিল কি না তা নিয়ে পুরাতাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতবিরোধ যথেষ্ট। প্রাচীন মিশর, গ্রিস ও রোমে গর্ভাধান রোধ নারীর দায়িত্ব হিসাবে পরিগণিত হত।
শতাব্দীর আগে কিছু শিশ্নাগ্র কনডমের ব্যবহারের কথা জানা যায়। এগুলি প্রধানত পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগকে ঢেকে রাখত। কন্ডোমের প্রচলন মূলত সমাজের উচ্চশ্রেণির মানুষের মধ্যেই পরিলক্ষিত হত। চিনে শিশ্নাগ্র কন্ডোম তৈরি হত তৈলনিষিক্ত রেশমি কাগজ বা ভেড়ার অন্ত্র দিয়ে। জাপানে কন্ডোম তৈরি হত কচ্ছপের খোল বা জন্তুর শিং দিয়ে।
আরও পড়ুন-পরকীয়া সঙ্গম
ক্রমবর্ধমান মহামারির সঙ্গে যুঝতে সরকারি বিদ্যালয়গুলিতে প্রথম যৌনশিক্ষা পাঠক্রম চালু করা হয়। এই পাঠক্রমের মাধ্যমে বিভিন্ন যৌনব্যাধি ও কেমন করে তা সংক্রমিত হয়, সেই সম্পর্কে পাঠদান দেওয়া হত। তবে যৌনব্যাধি নিয়ন্ত্রণে কন্ডোমের ব্যবহারকে উৎসাহিত করা হত না। কারণ সেযুগের চিকিৎসক মহল ও নৈতিকতার ধ্বজাধারীরা মনে করতেন, যৌনরোগ আসলে যৌন অসদাচারের শাস্তি।
আরও পড়ুন-গণিকাবৃত্তির অধিকারের লড়াই
NOTE- ৯ পৃষ্ঠার ‘গণিকাগমন বা পতিতাগমন’ শিরোনামের সম্পূর্ণ —পাঠ করতে উপরের লিংক থেকে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করুন।
Leave a Reply