Description
স্বাভাবিক যৌনবোধ
স্বাভাবিক যৌনবোধের মাপকাঠি
নৃপেন্দ্রকুমার বসু ও আরধনা দেবী
হাতুড়ে, কবিরাজী ও হেকিমি ঔষধওয়ালাদিগের অজস্র ঔষধ-পরিচয়- পুস্তিকা ও পঞ্জিকায় প্রদত্ত বিজ্ঞাপনে, পুরুষের যৌন-দুর্বলতা ও জননেন্দ্রিয় বিষয়ক নানাবিধ রোগের মনগড়া, বিকৃত নাম ও বিবরণ প্রচুর পরিমাণে তবু পাওয়া যায়। কিন্তু তাহার যৌন-জীবনের স্বাভাবিক সুস্থ অবস্থা কিরূপ- তাহার মোটামুটি একটি আদশই বা কেমন, তৎসম্বন্ধে কোনো আলোচনাই কাগজে বা মজলিসে প্রণালীবদ্ধভাবে চলিবার অবসর এ দেশে ঘটিয়া উঠে নাই।
তবে এক-এক শ্রেণীর অল্প সংখ্যক বন্ধু-বান্ধবের মধ্যে পর্দার আড়ালে অতি সংগোপনে ফিস্ ফিস্ করিয়া প্রায় এই সম্বন্ধে কিছু কিছু কথাবার্তা এবং হো হো করিয়া কিছুক্ষণের জন্য হাসাহাসি চলে বটে। কিন্তু তাহারু মধ্যে ঢাল অপেক্ষা কাঁকর বেশী থাকায়, ঐ জ্ঞান পরিপাকের সহায়তা না করিয়া অযথা একটা বিষম বদহজমের সৃষ্টি করে।
স্ত্রীলোকের যৌনজীবন ও যৌনবোধের সুস্থতা বা স্বাভাবিকতা নির্ধারণ করা যত কষ্টসাধ্য, পুরুষের ক্ষেত্রে ততটা কষ্ট স্বীকার করিবার প্রয়োজন হয় না। তথাপি সভ্যতার আলো পুরুষ যত বেশী পাইতেছে -ততই কাম-জীবনে তাহার বৈচিত্র ও বিপর্যয়। অত্যন্ত বেশী করিয়াই ধরা পড়িতেছে; তদুপরি তাহার যৌন-শক্তিরও তারতম্য ঘটিতেছে একটি বস্তুকে তখনই স্বাভাবিক বলিব, যখন সে তাহার গঠন-ধর্মের সকল ধারাগুলি মানিয়া চলে এবং তাহার বিভিন্ন উপাদানগুলির কর্ম-ক্ষমতার গণ্ডীকে তাহার প্রকৃতি আপন গতি-পথে ডিঙ্গাইয়া চলে না। যখনই সে এই নিয়মের ব্যতিক্রম করে, তখনই তাহাকে অস্বাভাবিক না বলিয়া উপায় নাই।
স্বাভাবিক মানুষ তাঁহাকে বলিব না, যিনি একটা নির্দিষ্ট আদর্শমতো দৈহিক গুরুত্ব ও দৈর্ঘ্য-প্রস্থতা কিংবা মানসিক প্রসার লইয়া সংসারে টিকিয়া আছেন। স্বাভাবিক বলিব তাঁহাকেই, যাঁহার দেহমনোরাজ্যে এমন একটা পরিস্থিতি বিদ্যমান-যাহার মধ্যে থাকিয়া তিনি তাঁহার সত্বার প্রাকৃতিক শৃঙ্খলা বজায় রাখিয়া ও তাহার নির্দেশ মানিয়া স্থিতিবৃদ্ধিজনক কার্যগুলি স্বচ্ছন্দে সাধন করিয়া যাইতে পারেন।
Note- ৩ পৃষ্ঠার প্রবন্ধটি পাঠ করতে উপরের লিকং হতে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করুণ
আরও পড়ুন
স্বাভাবিক যৌনবোধ
Leave a Reply