Description
স্বমেহন
নৃপেন্দ্রকুমার বসু ও আরধনা দেবী
এক্ষণে পুরুষের যৌনবোধকে সকল দিক্ দিয়া সম্পূর্ণভাবে অধ্যয়ন করিতে হইলে, নারীর অনুপস্থিতি সত্বেও তাহার স্বেচ্ছাকৃত বীর্যপাতন বিষয়টিকে আমাদের আলোচনার আমলে আনিতে হইবে। স্থলভাবে দুইটি শীর্ষে বিষয়টিকে বিভক্ত করা যাইতে পারে। একটির নাম- ‘স্বমেহন’, ‘পাণিমেহন’ বা ‘হস্তমৈথুন’ (self-abuse, auto-eroticism, masturbation); অন্ত্যটির নাম ‘সমমেহন’ বা ‘বিযোনি-মৈথুন’ (male homo-sexuality)
বাহ্য জগতের প্রভাব ও আন্তরিক প্রেরণা-ইহার যে-কোন-একটি বা উভয়বিধ কারণই তরুণকে বীর্যপাতনে প্রবৃত্তি দিতে পারে। এতদ্ব্যতীত উত্তেজনার প্রণালী দেহগত কোনো স্থানীয় কারণেও কামের বোধন হওয়া বিচিত্র নহে। দর্শন, স্পর্শন, শ্রবণ প্রধানত এই তিনটি ইন্দ্রিয়ের পথ দিয়া বাহ্যজগতের প্রভাব মস্তিকে বা মনের মণিকোঠায় উপস্থিত হয় এবং যৌন-চিন্তার স্পন্দন জাগাইয়া জীবসত্বার বীণা-তার ঝঙ্কত করিয়া তুলে।
পূবেই উল্লেখ করিয়াছি যে, কোনে! তরুণীর মুখ, কোন নিখুঁত নগ্নভাস্কর্য, ব’মকেলিমণ্ডিত কোনো চিত্র, সাধারণত রমণীর যে সকল অঙ্গ আবৃত থাকে-তাহার একাংশ দর্শন, কোনো রমণী-কণ্ঠের সঙ্গীত, কলহা ব’ প্রীতিপূর্ণ বচন শ্রবণ, কোনো দয়িতের অঙ্গ-পরশন-কৈশোর-যৌবনে কামোত্তেজনা উৎপাদনে সহায়তা করিতে পারে।
মূত্রস্থালীর (bladder) মধ্যে অত্যধিক মুত্র জমিলে, জননেন্দ্রিয়- সন্নিধানে দদ্র, পাঁচড়া, পামা, চুল্কানি প্রভৃতি জন্মানোর জন্য কণ্ডয়ন করিলে, মোটা বা খস্থসে কাপড়ের ঘর্ষণ লাগিলে, মলকোষ্ঠে অত্যধিক কৃমির উৎপাত হইলে, রাত্রে চিং বা উপুড় হইয়া শুইলে, অথবা কিছুক্ষণ হস্তদ্বারা লিঙ্গ নাড়াচাড়া করিলে, উহা উজ্জিত হইয়া উঠে এবং সঙ্গে সঙ্গে একটা অপরিপক্ক সুখবোধ হয়। সকলেরই এই সুখানুভূতিকে নিবিড়তর ও যথাসাধ্য স্থায়ী করিবার স্বতই ইচ্ছা জন্মে। শুক্রক্ষরণ-দ্বারা সেই ইচ্ছার সাময়িক চরিতার্থতা না হওয়া পর্যন্ত কোনো স্বাভাবিক মানুষের পক্ষেই নিশ্চেষ্ট, নিরুদ্বেগ থাকা কঠিন।
স্বমেহন বা পাণিমেহনের সংজ্ঞা পাঠকদিগের নিকট অজ্ঞাত না থাকিলেও বহু পাঠিকার বোধ হয় জানা নাই। প্রধানত আপন হস্ত ও গৌণত অন্য অঙ্গ বা দ্রব্য-সাহায্যে নিজের যৌন- যন্ত্র হইতে বীর্য নিঃসারণ করিয়া উত্তেজনা স্বমেহনের সংজ্ঞা প্রশমনের নাম-“স্বমেহন”।
Note- ৮ পৃষ্ঠার প্রবন্ধটি পাঠ করতে উপরের লিকং হতে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করুণ
আরও পড়ুন
Leave a Reply