পূর্বেও বলিয়াছি, পুরুষের যত শীঘ্র কামোত্তেজনা জাগে, রমণীর সেরূপ জাগে না। রমণীর যৌন-দীপনের এই নীতিটি না জানার দরুণ, অনেক সময় পুরুষ আপনার অজ্ঞাতসারে রমণীর নিকট ঘোর স্বার্থপর সাজিয়া বসেন। প্রায় গৃহস্থ-সংসারেই নারীর অগ্রেই পুরুষ নিশীথ-শয্যা উভয়ের রমণের তাল-গতি-মাত্রা গ্রহণ করেন।
আপন প্রয়োজন-মাফিক্ দিনে মদনপীড়িত হইয়া, নারীর সঙ্গ-সুখাশায় তীব্র উৎকণ্ঠায় পুরুষ তাঁহার আগমন-প্রতীক্ষা করেন। তারপর সারাদিনের গৃহকর্ম সদ্য সমাপনান্তে নারী শয়ন-কক্ষে প্রবেশ করিয়া, শয্যার উপর শুইয়া একটা আরামের দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলিতে- না-ফেলিতেই পূর্ব-হইতে-প্রস্তুত পুরুষ অন্ধআগ্রহে বিনা গৌরচন্দ্রিকায় তাঁহার অভিলাষ পূরণে ব্রতী হন্।
অথবা এমনও হইতে পারে যে, স্ত্রী স্বামীর অগ্রে শয়ন করিয়া সবেমাত্র তন্দ্রাচ্ছন্ন হইয়াছেন, এমন সময় স্বামী বাহির হইতে বেড়াইয়া আসিয়া, বেশ তপ্তকাম হইয়া শয়ন-কক্ষে প্রবেশ করিলেন। হয়ত তিনি থিয়েটার-বায়োস্কোপ হইতে লালসোদ্দীপক চিত্র দেখিয়া অথবা বন্ধুমহল হইতে ব্যক্তি বিশেষের রতিশক্তির চমকপ্রদ কাহিনী সবেমাত্র শুনিয়া আসিতেছেন; সুতরাং ধৈর্যধারণ অসম্ভব।
নারী ইহার জন্য মোটেই প্রস্তুত থাকেন না, কাষেই এ ব্যাপার’ তাঁহার নিকট ‘তুলসী বনে বাঘের ডাকে’র মতোই বিসদৃশ ও অতর্কিত বলিয়া অনুভূত হয়। তদুপরি, নারী-পূর্ববণিত যে উপচার বা কন্যা-বিস্রন্তনের এত পক্ষপাতী, তাহা প্রদর্শন করিতে পুরুষ প্রায় ভুলিয়া যান; ভুলিয়া যান যে, আদ্যানন্দ যত নিবিড় হয়, অন্তানন্দ সেই পরিমাণে তত গভীর-তত তৃপ্তিদায়ক হয়।
তারপর হয়ত যখন রমণীর মনের উদয়-গিরির পশ্চাৎ হইতে কামনার তরুণ-সূর্য সবেমাত্র উঁকি দিতে আরম্ভ করিয়াছে, তখন তৃপ্ত পুরুষের শ্রান্ত কামনা-রবি অস্তগিরির পশ্চাতে ঢলিয়া পড়িল!……
পুরুষের রমণেচ্ছা ধাঁক্ করিয়া জাগে। যৌন-সম্মিলন আরম্ভ হইলে, তাহার প্রথম অবস্থায় পুরুষের যতটা কামোৎসাহ থাকে, উহার মধ্যাবস্থায় অনেকের তাহা হ্রাস পায়; কিন্তু একেবারে শেষের দিকে বীর্য-পতনের অব্যবহিত পূর্বে তাহা ক্ষণিকের জন্য বেশ একটু জ্বলিয়া উঠে, এবং বীর্য–পতনের সঙ্গে সঙ্গে ও অব্যবহিত পরে নিমেষের জন্য চরমানন্দ লাভ হয়। পরন্তু নারীর কামোৎসাহ ধীরাবরোহী-একটির পর একটি করিয়া দীর্ঘ
Note- ২৩ পৃষ্ঠার প্রবন্ধটি পাঠ করতে উপরের লিকং হতে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করুণ
Leave a Reply