Description
স্ত্রী চরিত্র
লেখক – জটাধারী শর্ম্মা ।
সূত্র- লেখকের ১৮৮৪ সালে প্রকাশিত ‘প্রবন্ধ রত্ন’নামক গ্রন্থ হতে সংগ্রহীত।
“বাণিজ্যেন গতঃ সমে গৃহ পতি বার্তাপিন শ্রুয়তে, প্রাতস্তজ্জননী প্রসূত তনয়া জামাতৃ গেহংগতা। বালাহং নব যৌবনা নিশি কথং স্থাতব্য মম্মদ গৃহে, সায়ং সংপ্রতিবর্ততে পৃথিক হে স্থানান্তরং গম্যতাং।”-কালিদাস।
পুরুষের ভাগ্য এবং নারীর চরিত্র দেবতারাও বুঝিতে পারেন না-মনুষ্য কোন্ ছার? সংস্কৃত ভাষায় এইরূপ একটা প্রবাদ প্রচলিত আছে। অনেক সময় এই কথাটা মনে করিয়া আমরা আত্মপ্রসাদ লাভ করি। অনেক সময় এই কথাটা বলিয়া অপরকে বুঝাই। কোন অমিতব্যয়ী, অমিতাচারী যুবা আত্মদুষ্কৃতনিবন্ধন দুর্দশাগ্রস্ত হইলে এই বচন উদ্ধৃত করিয়া তাহাকে সান্ত্বনা করি।
কোন তরলমতি নবীনা, পিতামহের যোগ্য বৃদ্ধ স্বামীর চরণারবিন্দে মতি স্কির না রাখিয়া, প্রতিবেশী যুবককে দেখিবার জন্য দিনে দশবার কলসীকক্ষে ঘাটের পথে যাতায়াত করে আমরা পাড়ার পাঁচ জন এই প্রবাদ স্মরণ করিয়া তাহার কদাচারের ব্যাখ্যা করি। কিন্তু, পুরুষের ভাগ্য যেমন হউক, নারীচরিত্র কি সত্যই বুঝা যায় না? সম্যক্ না যাউক, বুঝিতে চেষ্টা করিলে কতকটা বোধ হয় বুঝা যাইতে পারে।
দুঃখের বিষয় এই যে, কেবল কতকটাই বুঝা যায়-সবটা বুঝিবার পথ আমরা আপনারাই অনেক দিন হইল রুদ্ধ করিয়াছি। এ সংসারে পুরুষ প্রতিপালক, স্ত্রীলোক প্রতিপালিত, এই সম্বন্ধ এত কাল হইতে চলিয়া আসিতেছে। সুতরাং পুরুষের দ্বারা নারীচরিত্র সম্যক্ জ্ঞাত হওয়ার আর বোধ হয় উপায় নাই।
এত কাল হইতে স্ত্রীজাতি পরমুখাপ্রেক্ষিনী, পর প্রত্যাশিনী, পরান্নভোগিনী, পরাবসথশায়িনী, যে তাহাদের সকল কথা সেই পরের কাছে প্রকাশ হওয়া এক রূপ অসম্ভব বলিয়াই বোধ হয়। প্রতিপালকের কাছে প্রতি পালি- তকে অনেক কথা লুকাইতে হয়- চিরপ্রতিপালক পুরুষের কাছে চিরপ্রতিপালিত স্ত্রীজাতির অনেককথা গোপনে থাকিবেই থাকিবে। যে চরিত্রগত স্বাধীনতা চরিত্রবিকাশের এক মাত্র পথ, তাহা তাহা- দের নাই।
মনুষ্যজন্মের প্রথমাবহার জীলোকদিগকে যে সকল লোকের সাহচর্য্য করিতে হইয়াছে-যে সকল স্বার্থপর, কলহরত আত্মসর্ব্বস্ব, উচ্ছৃঙ্খল, নিষ্ঠুর, পশুবৎ লোকের মধ্যে বাস করিতে হইয়াছে–যে- সকল লোকের মন রাখিয়া জীবন ধারণ করিতে হইয়াছে।
সম্পূর্ণ রচনাটা পড়তে উপরের লিংক হতে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করুন
আরো পড়ুন-
স্ত্রী চরিত্র
Leave a Reply