Description
সমকাম বনাম বিকৃতিকাম
ডা. মদন রাণা
প্রকাশ– ১৩৬৩ বঙ্গাব্দ
সমলৈঙ্গিক ব্যক্তির প্রতি ধাবিত যৌনতারই নাম সমকাম। বিকৃতিসমূহের মধ্যে সমকাম যেমন বিশেষ তেমনি প্রোজ্জ্বল। ঘটনমাত্রা বিচারে শীর্ষস্থানীয় বিকৃতি, শুধু মানবজগতে নয়, সমগ্র প্রাণিজগতেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। সর্বাধিক দৃষ্ট এই কামবিকৃতি সর্বাধিক আলোচিতও বটে, বস্তুত: সমরতি বিষয়ক গ্রন্থাবলী এবং পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধ সংখ্য। নির্ণয়ে যে কোন গবেষকই হিমশিম খেতে বাধ্য।
বিশ্বচরাচরে ব্যাপ্তি প্রসঙ্গ ব্যতিরেকে আরও একটি মৌগিক বিশেষত্বও সহজেই নজর কাড়বে। যেমন সমকামিতায় সঙ্গীর জন্যে রাগ অনুরাগ, এমন কি গভীর প্রণয়, প্রায়শঃ দৃষ্ট। বলা বাহুল্য অন্যান্য কাম- বিকৃতি উদাহরণস্বরূপ বস্তুকাম, ধর্ষকাম, ইন্দ্রিয়তৃপ্তিসর্বস্ব, কোন অনুরাগ বিজড়িত নয়। ফলে হয়েছে কি, অন্যান্য বিকৃতির তুলনায় সমকামিতার চিকিৎসা অতীব কষ্টসাধ্য, কখনবা দুরূহ।
সমকামিতা কোথাও প্রকাশিত। বাস্তবে অনুষ্ঠিত কিংবা মনশ্চক্ষে দৃষ্ট। কোথাওবা প্রচ্ছন্ন। বিবাহের পর ধরা পড়ে, পুরুষের অক্ষমতায় এবং নারীর ব্যভিচার সংশয়ে অর্থাৎ সন্দেহবাতিকে কিংবা রতিজডতায়। সমকামীদের মধ্যে কেউ একনিষ্ঠ, একটি সঙ্গীর সঙ্গে প্রায় স্থায়ী সম্পর্ক গড়ে তোলে। কেউ ব্যভিচারী, একের পর এক নতুন মুখের সন্ধানে মত্ত। পাযুকামীরা ভিন্ন শ্রেণীর কিংবা ঘোর অধঃপতিত ব্যক্তি, এটা সত্য নয়। বস্তুতঃ, পায়ুকাম-অভিলাষী ও পারস্পরিক পাণিমেহনে আগ্রহী, এই দুই প্রকার সমকামীর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।
সম অর্থবোধক গ্রীক উপসর্গ (প্রেফিক্স) ‘হোমো’ থেকে এসেছে হোমে!- সেক্সয়্যালিটি, এরই বাংলা পরিভাষা বা প্রতিশব্দ হচ্ছে, সমকাম বা সমরতি বা সমকামিতা। কাজে কাজেই এটা হচ্ছে সেই কামজ ভালবাসা যার পাত্রপাত্রীরা সমলৈঙ্গিক। অর্থাৎ কিনা পুরুষের প্রতি পুরুষের কিংবা নারীর প্রতি নারীর আকর্ষণই সমকামিতা, এর মধ্যে বন্ধুত্বও এসে পড়েছে, এটা কিন্তু সমরতি নয়, যতক্ষণ না সমলিঙ্গদেহজাত উদ্দীপনায় স্খলন বা রাগমোচন হচ্ছে। আবার এই আকর্ষণ তথা কামানুষ্ঠানের রূপটি যখন হবে প্রধানতঃ কিংবা পূর্ণতঃ, বিকৃতি পর্যায়ভুক্ত হবে।
২০ পৃষ্টার প্রবন্ধটি পাঠ করতে উপরের লিংক থেকে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করুন
আরও পড়ুন
সমকাম বনাম বিকৃতিকাম
Leave a Reply