Description
শুভ নববর্ষ ১৪৩২
ডা: দীপালোক বন্দ্যোপাধ্যায়
বাঙালীর কাছে আজও উপেক্ষিত আমাদের “বঙ্গাব্দ ” ৷ পয়লা ও পঁচিশে বৈশাখ ছাড়া শহুরে ও শিক্ষিত বাঙালীরা তার খোঁজও রাখে না ৷ প্রতিবারের মত এবছরও সারা পৃথিবীর বাঙালীরা ধূমধাম করে “নববর্ষ” “পহেলা বৈশাখ” পালন করবে ৷এবারে আমরা ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার দিন করবো পয়লা বৈশাখ ৷ সূর্য এই সময় মেষ রাশিতে প্রবেশ করে ৷ উপেক্ষিত বঙ্গাব্দর নমুনা বাঙালীর ভাষা দিবস ২১ ফেব্রুয়ারী কিংবা ১১ই মে বাংলা সনে নয় ! তবু , জানা দরকার আমাদের ঐতিহ্য ৷ “বঙ্গাব্দের” প্রচলন নিয়ে দ্বিমত আছে ৷
একটা মত গৌড়ের রাজা “শশাঙ্ক” বঙ্গাব্দের প্রচলন করেন ৷ অন্য মতে , খ্রিস্টিয় বর্ষপঞ্জীর ৫৯৪ সালে জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১৮ মার্চ বৃহঃস্পতিবার বা এখনকার গ্রেগরিয়ান মতে ২০ মার্চ শনিবার বঙ্গাব্দের সূত্রপাত ৷ ইংরেজি বা খ্রিস্টিয় পঞ্জীর চেয়ে ৫৯৩ বছর কম ৷ হিমুকে হারিয়ে দিল্লীর সিংহাসনে বসার দিনকে স্মরণে ” আকবর ” ” তারিখ- ই – এলাহী ” নামে ৯৯২ হিজরীতে এই বর্ষপঞ্জী চালু করেন ৷
হিজরী চান্দ্র মাস অনুসারে প্রজাদের খাজনা দিতে অসুবিধা বিধায় ইরাণের প্রখ্যাত জ্যোর্তবিজ্ঞানী আমীর ফতুল্লাহ সিরাজীকে দিয়ে বর্ষপঞ্জী চালু করেন ৷ চান্দ্র হিজরী সৌর বছরের চেয়ে ১১ দিন করে কম হওয়ায়৩৫৪ দিন অন্তরের হিজরী সনে ঋতু পরিবর্তনের সুযোগ ছিল না ৷ বাংলা দিনপঞ্জীর সাথে ইসলামী ও খ্রিস্টীয় দিনপঞ্জীর আরও তফাৎ হলো হিজরী নতুন তারিখ শুরু হয় সন্ধ্যায় নতুন চাঁদ ওঠার পর আর খ্রিস্টীয় তারিখ হয় মধ্যরাতে রাত বারোটার পর ৷
কিন্তু , বাংলা সনের দিন শুরু হয় সূর্যোদয়ের সাথে ভোরে ৷হিজরী সনে কৃষকদের খাজনা দিতে অসুবিধা হতো ৷ মুঘলরা ১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দে বাংলা অধিকার করে ‘সুবে বাংলা ” নাম দেয় এবং বাংলা ফসলী সনের ব্যবহার চালু করেন ৷ জমিদাররা সম্রাটের কথা মতো চৈত্র মাসের শেষ দিন খাজনা নিয়ে নেন ৷পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে ত্রিপুরীরা বৈসুর বা বৈসু , মারমারা সাংগ্রাই , চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যারা বিজু নামে এই সময়েই নববর্ষ উদযাপনকরেন ৷ শুভ নববর্ষ ১৪৩২
সম্পূর্ণ প্রবন্ধটি পাঠ করতে উপরের লিংক থেকে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করুন
আরও পড়ুন
Leave a Reply