Description
শাস্ত্র ও স্বাধীনতা
দয়ালচন্দ্র ঘোষ
সূত্র- ১৯১৮ সালে প্রকাশিত মাসিক পত্রিকা সবুজ পত্র থেকে সংগ্রহীত।
বিশ্ব সৃষ্টির পর বিধাতা পুরুষ এক জোড়া মানুষের মাথায় প্রকান্ড কিতাবের বোঝা চাপাইয়া ধরাতলে ছাড়িয়া দিয়াছিলেন, এই রূপ বিশ্বাস যাহারা করিতে পারেন, তাঁহাদের পক্ষে শাস্ত্র জিনিসটা এক ভাবে খুবই সহজবোধ্য। এ রুপ সহজ বাদীদের দলে ভিড়িতে অতি বড় ভূতভক্তও এখন বোধ হয় একটু পশ্চাদপদ,কারন জ্ঞন ও যুক্তির মুক্ত বাতাস তাহাতে একটুও লাগিবার জো নাই।
মানুষ ও কেতাবী শাস্ত্র বিশ্ব স্রষ্টার যমজ সন্তান, এই রূপ মত যদি কোথাও কাহারো থাকে, তবে সেটা আমরা কিছু মাত্র সম্বর্দ্ধনা না করিয়া বিদায় দিতে পারি। কি রক্ষণশীল কি উদারনৈতিক সকল তার্কিকই বোধ হয় এই মত পক্ষ লইয়া করিতে একখন কুন্ঠিত। মনুষ্য সৃষ্টির প্রক্রিয়ার আধুনিক অভিব্যক্তিবাদ মানি আর মানি, তাহাতেই বা এ বিষয়ে কি আসে যায়।
বিধাতা শুধু ভারতবর্ষের বিধাতা নহেন, এবং তাহার টোল যদি থাকে সেটা শুধু বৈদিক সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্র হইতে পারে না। অনেকে এ কথা অবশ্যই বলিতে পারেন বেদ তো কেতাব নয় , বেদ হইল জ্ঞান। কেতাব পরে হইয়াছে সেটা অবশ্যই মানুষের লেখা এবং জ্ঞানকে অপৌরুষেয় বলা চলে। বেশ, এই জ্ঞান মানুষের ভেতরে গজাইল কেমন করিয়া ?
শাস্ত্রের ভেতরে আছে মানুষ যখনই জ্ঞান বৃক্ষের নিষিদ্ধ ফল ভক্ষণ করিল,অপনি তাহার মনে জ্ঞানের বেদনা জাগিয়া উঠিল। কিন্তু এ জ্ঞান বোধ হয় বৈদিক জ্ঞান নয়। কারন এ জ্ঞান হইল মানুষের পতন, বৈদিক জ্ঞান হইল মানুষের উন্নয়ন।
NOTE- তেরো পৃষ্ঠার ‘শাস্ত্র ও স্বাধীনতা’ বিষয়ক প্রবন্ধটি পাঠ করতে উপরের লিংক থেকে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করুন
Leave a Reply