Description
শক্তিমানের ধর্ম
সুরেশচন্দ্র চক্রবর্তী
সূত্র- ১৯১৭ সালে প্রকাশিত মাসিক পত্রিকা সবুজ পত্র থেকে সংগ্রহীত।
সারাংশ:-সদর বড় না অন্দর বড়? মানুষের বাহিরটা বড় না ভেতরটা বড়?– এই হচ্ছে ‘কর্তার ইচ্ছাই কর্ম’ আর ‘বুদ্ধিমানে কর্ম’ এই দুটোর মধ্যে আসল তর্কটা। হিন্দুর পক্ষে কি আর রাষ্ট্রীয় অবস্থা, কি তার সামাজিক অবস্থা, এ দুটোর কোটাই যে বর্তমানে মোলায়েম তা রবীন্দ্রনাথও বলেন বিপিন বাবুও মানেন, যত মভভেদ সে শুধু এর কার্য সম্বন্ধ করণ নিয়ে– Cause ও Affect নিয়ে।
রবীন্দ্রনাথ বলেন সমাজটা হচ্ছে ঘোড়া রাষ্ট্র হচ্ছে গাড়ী। এই সমাজ ঘোড়া বলিষ্ঠ ও মুক্ত না হলে, সে এই রাষ্ট গাড়ীকে টানতে পারবে না। বিপিন বাবু বলেছেন- Oh no, I beg your pardon that is– রাষ্টাটাই হচ্ছে ঘোড়া আর সমাজটা হচ্ছে গাড়ী— রাষ্ট্র ঘোড়া শক্ত না হলে- সমাজ গাড়ী চিরকাল তক্তা হয়েই কাল কাটাবে।
রাষ্টের তুলনায় মানুষের সমাজটা তার অন্দর। আবার সমাজের তুলনায় মানুষের মনটা তার অন্দর। রবীন্দ্রনাথ বলেছেন– মন অন্দরের উপরে উপর আমরা শত সহস্র নিষেধে ঘোমটা টেনে দিয়ে অক্ষমতার সুতোয় বোনা এমনি কালো পুর আরামের পর্দা টাঙিয়ে দিয়েছি যে রাষ্ট্রের মুক্ত হাওয়া আর সেখানে আর আসতে পারছে না। বিপিন বাবু বলেছেন– Fiddlesticks – বাজে কথা। রাষ্ট্রের হওয়াট এসে পড়ুক ও ঘোমটা টোমটা উড়ে যাবে।
এই মতভেদের মূলে একটি Philosophy’র ভেদ আছে। রবীন্দ্রনাথ বলেছেন মানুষের ভিতরটা দিয়ে বাহিরটা নিয়ন্ত্রণ হয়। আর বিপিন বাবু বলেছেন মানুষের বাহিরটা দিয়েই তার ভিতরটা গড়ে উঠে। অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথের মতে আমাদের আত্মাটা আমাদের দেহটাকে গড়ে তুলছে। অপর পক্ষে বিপিন বাবুর মতে আমাদের দেহটাই আমাদের আত্মার জন্ম দিয়েছে।
NOTE- চৌদ্দ পৃষ্ঠার ‘শক্তিমানের ধর্ম’ শিরোনামের প্রবন্ধটি পাঠ করতে উপরের লিংক থেকে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করুন
Leave a Reply