Description
যৌন-সঙ্গম ও বিবাহিত জীবন
যৌন-সংবম বা ব্রহ্মচর্য্য
ডা. মদন রাণা
প্রকাশ– ১৩৪৯ বঙ্গাব্দ
আমাদের শাস্ত্র-পুরাণে রেতঃ ধারণ বা ব্রহ্মচর্য্য পালন ব্যক্তিমাত্রেরই অবশ্য পালনীয় বালয়া নির্দেশ আছে; কিন্তু সাধারণ মানুষের জীবনে ব্রহ্মচর্য্যের প্রকৃত অর্থ ইন্দ্রিয়নিগ্রহ নহে, উহার সু ও সংযত ব্যবহার। কারণ ইন্দ্রিয়শক্তিকে চিরদিন কখনও শাসনে রাখা যায় না। আর জোর করিয়া ইন্দ্রিয়াবেগ দমন করাও ব্রহ্মচর্য্যের
আদর্শ হইতে পারে না, বরং তাহা আর এক প্রকারের অসংযম।আমাদের প্রাচীন ভারতে ব্রহ্মচর্য্যের আদর্শ যেমন প্রচারিত হইয়াছিল, সেইরূপ কামশাস্ত্র সম্পর্কেও যথেষ্ট আলোচনা হইয়াছে। এ সম্বন্ধে প্রাচ্যের শ্রেষ্ঠতম কামকলাবিদ মহর্ষি বাৎসায়ন কাম সম্পর্কে এতখানি গুরুত্ব আরোপ করিয়াছিলেন, যাহার জন্য তিনি প্রবলভাবে প্রচার করিতে দ্বিধান্বিত হন নাই যে, “ধর্মার্থকাম” এই ত্রিবর্গের ফল মানুষ একমাত্র কামচর্চ্চার দ্বারাই লাভ করিতে পারে।
তাঁহার জগৎপ্রসিদ্ধ ‘কামসূত্রম্’ গ্রন্থে উহার সুন্দর যুক্তিপূর্ণ ব্যাখ্যা আছে। সেই সঙ্গে আমাদের একথা ভুলিলেও ত চলিবেনা যে, কাম সর্ব্বজয়ী, ভগবদিচ্ছা পূর্ণ করার জন্যই উহা মানুষের শরীরে সঞ্চারিত হইয়াছে। কাম এমন মহাশক্তি ধারণ করে যে, তাহাকে পরিশুদ্ধ করিয়া ঈশ্বরাভিমুখী করিতে পারিলে তখন তাহা আর বিক্ষোভ সৃষ্টি করেনা, সেই পরম পুরুষকেও জানা যাইতে পারে।
কিন্তু কুজ্জসাধ্য তপস্যার দ্বারাও তাহা সিদ্ধ হওয়া সম্ভব নহে, বরং তাহাতে দিব্য-জীবন না হইয়া মানুষ হয় বিরক্ত, একরোখা জন্তুর মত ভীষণ, অথবা অতিমাত্রায় অহঙ্কারী-পরম শান্ত, শীতল ও মধুময় চরিত্র সে লাভ করে না।
ধর্মসাধনার কথাই ধরা যাউক। সাধনার প্রথম যুগে পুরুষ অথবা নারী ইষ্টকে পায় কামক্রীড়ার সঙ্গীরূপে। কারণ সমস্ত বৈষ্ণব সাহিত্যের মূলকথা এই যে, ভগবান অপ্রাকৃত মন্মথ, সম্ভোগবৃত্তিকে নিরন্তর খেলাইয়া, নাচাইয়া, ছুটাইয়া সাধক-সাধিকাকে আকুল ও নাকাল করিগ তুলিয়া থাকেন।
কামের উচ্ছ্বাসময়ী সম্ভোগ প্রবৃত্তিই ঈশ্বর-প্রাপ্তির অনুরুক্তিরূপে তখন প্রকাশ পায়। ইহা নবানুরাগের কাল। কামচাঞ্চল্যই তখন এক অপার্থিব আশা ও আনন্দরূপে ইষ্টকে লইয়া নানারূপ ক্রীড়া করে।
১৪ পৃষ্টার প্রবন্ধটি পাঠ করতে উপরের লিংক থেকে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করুন
আরও পড়ুন
যৌন-সঙ্গম ও বিবাহিত জীবন
Leave a Reply