Description
যৌন-প্রীতি
অল্পদৃষ্ট কয়েকটি বিকৃতি
ডা. মদন রাণা
প্রকাশ– ১৩৬৩ বঙ্গাব্দ
শুধুই বালকবালিকার প্রতি কামজ প্রীতির নাম বালকামিতা। ইংরেজীতে বলা হয় পিডোফিলিয়া কিংবা ইনফ্যান্টোসেক্স য়্যালিটি। সুখের কথা এটা অল্পদৃষ্ট। এবং অল্পবয়স্কর প্রতি বাধ্যতাজনিত আকর্ষণ যাদের অনুভবে তারা সংখ্যায় খুবই কম। এদের বাসনা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পূরিত হয় কল্পনায়। কতিপয় ব্যক্তির ক্ষেত্রে অবশ্য রূপায়িত হতে চায় রক্তমাংসর অনুভবে। তথাপি বলাৎকার কিংবা যৌন ঘনিষ্ঠতাহেতু দেহের ক্ষতিসাধন অতিশয় দুর্লভ। সাধারণতঃ মৌখিক প্রস্তাব, আলিঙ্গনচুম্বনাদি কিংবা নিজ অঙ্গ প্রদর্শন করানোতেই কামনার নিবৃত্তি। কখন বালিকার অঙ্গ নিয়ে খেলা করার প্রবল আবেগ, কখনবা বালিকাকে দিয়ে নিজ অঙ্গে হস্তক্ষেপ করানো। ডাঃ হির্শফেল্ড বর্ণিত একটি ঘটনা: এক হাতে স্কুলকন্যা ধৃত, অন্য হাত পাণিমেহনে নিয়োজিত, বালিকার অজ্ঞাতসারেই। যথার্থ সহবাস বলতে যা বোঝায় সেটা ইদানীং বিরল এবং বালক-বালিকায় ধর্ষণও বহুদৃষ্ট নয়।
অধিকাংশ বিকৃতির মতই এটাও পুরুষপ্রধান। অর্থাৎ কিনা শুধু পুরুষ নয়, নারীতেও খুঁজে পাব। বালকামিতা যে সব সময়ই ইতররতিক হবে তা’ নয়, সমরতিকও হতে পারে। যেমন, সমকামী পুরুষ অপ্রাপ্তবয়স্ক কোন ব্যক্তিকে কামপাত্র হিসেবে নিয়োজিত করতে পারে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, বালকের সুন্দর মুখখানি সমকামী-হৃদয়ে নারীকে মনে করিয়ে দেয়। কিংবা শৈশবে নিজে যা ছিল বা হতে চেয়েছিল সেই বালককেই ভালবাসে, প্রশংসা করে।
বালকামিতার বিষয়বস্তু সকলক্ষেত্রেই বালকবালিকায় মুগ্ধচিত্ততার বিবরণ নয়, কখন সখন রতিজ শর্তরূপে দেখা দিতে পারে। অর্থাৎ কিনা পুরুষের অঙ্গোত্থান এবং নারীর পুলকলাভ সম্ভব শুধু কিশোরী কিংবা অল্পবয়স্ক যুবাতেই। যথার্থতঃ কোন কোন নারী বয়সেতে অনেক ছোট এমন পুরুষের রতি- অভিলাষিনী কিংবা পাণিপ্রার্থিনী এবং বড় একটা বালকবালিকার সঙ্গে জড়িয়ে পড়তে চায় না।
যতই অদ্ভুত মনে হোক না কেন, সুস্থ স্বাভাবিক পুরুষকেও বালকবালিকা সংসর্গে লিপ্ত হতে দেখা গেছে। কামাঙ্কুশবিদ্ধতা, বার্ধক্য, সুরা, প্রধানতঃ এতিনটি কারণেই। আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি অভাবের তাড়নায় একটি বিকল্প ব্যবস্থা রূপে।
৯ পৃষ্টার প্রবন্ধটি পাঠ করতে উপরের লিংক থেকে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করুন
আরও পড়ুন
যৌন-প্রীতি
Leave a Reply