Description
যৌনাঙ্গ ও তার কার্য
ডা.মদন রাণা
প্রকাশ ১৩৪৯ বঙ্গাব্দ
শিশ্নের গঠন বৈচিত্র্য সম্পর্কে আলোচনায় দেখা যায়, ইহা বহু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শিরা, ধমনী এবং কৈশিকজাল (Capillaries) পূর্ণ। এই সকল শিরাসমূহে বহুলভাবে রক্ত প্রবাহিত হইয়া থাকে। আবার এই সকল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শিরাসমূহ একটা বৃহৎ শিরায় পরিণত হইয়া লিঙ্গের পৃষ্ঠদেশে বিলম্বিতভাবে অবস্থান করিতেছে। তাহা ছাড়া আরও একটা দেখিবার বিষয় এই যে, লিঙ্গমধ্যে তিনটা গ্রন্থিও বিদ্যমান।
একটা গ্রন্থিদ্বারা লিঙ্গের মূলদেশের কিঞ্চিৎ পশ্চাৎ পরিবেষ্টিত। ইহার আকৃতি অনেকটা পিয়াজের অনুরূপ এবং ইহার ইংরেজী নাম Prostate gland বা বাংলায় মুখশায়ী গ্রন্থি বলে। ইহা ঠিক শুক্রাধারের নিম্নে অবস্থিত। প্রষ্টেট বা মুখশায়ী গ্রন্থি হইতে লালাবৎ একপ্রকার রস নির্গত হইয়া থাকে। ইহার আর একটু নিম্নে অর্থাৎ লিঙ্গমূলের অল্প পশ্চাৎভাগে মূত্রমার্গের দুইদিকে মটরের ন্যায় ক্ষুদ্র দুইটা গ্রন্থি আছে। ইংরাজীতে ইহাকে Cowper’s glands বা বাংলায় ইহাকে মটরগ্রন্থী বলিয়া অভিহিত করা হয়। এই গ্রন্থিদ্বয় হইতেও একপ্রকার লালাবৎ রস নির্গত হইয়া থাকে।
দ্বিতীয়তঃ মুষ্ক-বাহ্যতঃ দেখা যায় যে, ইহা দুইটা অণ্ডবৎ পদার্থ বিশেষ। বাহ্যতঃ এই অণ্ডদ্বয় লিঙ্গের নিম্নদেশে একটা দোলায়মান চর্মুথলিকার মধ্যে অবস্থিত। এককথায় বলিতে গেলে পুংজননেন্দ্রিয়ের প্রধান যন্ত্রই হইল এই অণ্ড বা মুক্ষদ্বয়। কারণ ইহারাই শুক্র উৎপাদন করিয়া থাকে। প্রথমতঃ দেখা যায়, পুংশিশু যখন মাতৃগর্ভে অবস্থান করে তখন পঞ্চম মাস সময় পর্যন্ত এই মুষ্ক (testes) বা অণ্ডদ্বয় উহার বস্তিকোটরে অবস্থান করে।
গর্ভস্থ পুংসন্তান যখন পঞ্চমমাস অতিক্রম করে তখন উহা ক্রমেই বস্থিকোটর হইতে নামিয়া আসিতে থাকে এবং অষ্টম মাস বাকিখনও কখনও শিশু ভূমিষ্ঠ হইবার কিছুদিন পূর্ব পর্যন্ত মুষ্কদ্বয় চর্মুথলিকার। অণ্ডকোষ বা Scrotum) মধ্যে নামিয়া আসে। মূলতঃ এই চৰ্ম্মখলিকা (Scrotum) একটা বলিয়া পরিদৃশ্যমান হইলেও মাঝা- মাঝি একটা শিরার দ্বারা স্বতন্ত্র-এইরূপ বুঝা যায় এবং বাস্তবিক পক্ষে ভিতরে ইহা দুইভাগেই বিভক্ত ও প্রত্যেক কোষে একটা করিয়া অণ্ড সুরক্ষিত।
১৯ পৃষ্টার প্রবন্ধটি পাঠ করতে উপরের লিংক থেকে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করুন
আরও পড়ুন
Leave a Reply