Description
যৌনক্ষুধার বৈশিষ্ট
নৃপেন্দ্রকুমার বসু ও আরধনা দেবী
নারীর যৌনবোধ ও যৌনক্ষুধা পুরুষের চেয়ে বেশী না কম, এই প্রশ্ন মানব-সভ্যতার প্রভাতকাল হইতেই মনীষীদিগের বিচারবুদ্ধি আলোড়িত করিয়া আসিতেছে। কফুসিয়াস্ হইতে হজরৎ মোহাম্মদ, বুদ্ধ হইতে মার্টিন লুথার, হাবার্ট স্পেন্সার হইতে ফ্রয়েড- উপনিষৎ হইতে ওল্ড টেস্টমেন্ট, পুরাণ হইতে জাতক, অবদান হইতে বিদ্যাসুন্দর-সর্বযুগে সকল চিন্তাশীল ভূয়োদর্শী ব্যক্তি নিজ নিজ ভাবে তাঁহাদের বক্তৃতা, উপদেশ ও সাহিত্যে এই গুরুতর সমস্যাটির সমাধানের চেষ্টা করিয়াছেন।
বেশীর ভাগ ব্যক্তিই, সাধারণভাবে পুরুষ অপেক্ষা নারীর দ্বিগুণ, চতুর্গুণ, বা অষ্টগুণ অধিকতর কাম সম্বন্ধে মুখর সাক্ষ্য দিয়াছেন; এবং এখনো আপামরসাধারণ লোকসমাজে এইরূপ মতই প্রবল। এমন কি, প্রাচীন ভারতের কামকলাবিশেষজ্ঞ বাভ্রব্য, গোনার্দীয়, ঘোটকমুখ, দত্তক, চারায়ণ প্রমুখ ব্যক্তিগণও স্ত্রীপুরুষের কামতৃষ্ণার তৌল করিতে গিয়া, নারীর দিক্কার তুলাদণ্ডের পাল্লাখানিই নিম্নে নামাইয়া দিয়া নিশ্চিন্ত হইয়াছেন।
মনু ও উনবিংশ-সংহিতাকারগণ, পুরাণকর্মীগণ ও মহাভারতকার কৃষ্ণ- দ্বৈপায়ন নারীর অতিরিক্ত যৌনাবেগ ও প্রচেষ্টার যে বর্ণাঢ্য চিত্র অঙ্কিত করিয়াছেন-তাহা অবশ্য অতিশয়োক্তি অলঙ্কারের তুলিকা হন্তে লইয়া। বাৎস্যায়ন ও কল্যাণমল্ল তবু এই উগ্র মতবাদকে যথাসাধ্য প্রশমিত করিতে চেষ্টা করিয়াছেন।
যাহাহউক, পাশ্চাত্য দেশেও নারীর কাম ‘সম্বন্ধে দুই বিপরীত চিন্তাধারার পরিপোষক দল দেখা গিয়াছে। এই দুই দলের দুই শ্রেণীর মতবাদী মতবাদ লইয়া বিচার-বিশ্লেষণ করিলে আমরা দেখিতে পাই যে, এতদুভয়ের মধ্যে যেমন আংশিক সত্য নিহিত রহিয়াছে, তেমনি উহাদের মধ্যে স্বমতপ্রাধান্যের ছাপ পড়িয়া একটা অসম্পূর্ণতা প্রকট করিয়া দিয়াছে। যাহাহউক, এ বিষয়ের একটা সাধারণ ও সর্বজন প্রযোজ্য নীতি প্রতিষ্ঠিত করা শক্ত কথা।
ডাঃ অটো য়্যাজ়ার ও তাঁহার পূর্বে মিসেস ডাফি এবং আমাদের দেশের কোন কোন স্ত্রী ও পুরুষ সাহিত্যিক স্ত্রীলোকের যৌনক্ষুধা ও যৌনবোধ অপেক্ষাকৃত কম বলিয়া প্রকারান্তরে প্রচার করিয়াছেন; ভোগরাগে স্ত্রীজাতির আপন নিষ্প্রয়োজনীয়তা ও নিষ্ক্রিয়তার দামামা বাজাইয়া, তাঁহারা তাঁহাদের মতবাদকে আরো জোরালো করিয়া তুলিয়াছেন।
Note- ৩৬ পৃষ্ঠার প্রবন্ধটি পাঠ করতে উপরের লিকং হতে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করুণ
আরও পড়ুন
যৌনক্ষুধার বৈশিষ্ট
Leave a Reply