Description
যুবতীর যৌনবোধ
যুবতীর যৌনবোধ ও যৌন-ব্যবহার
নৃপেন্দ্রকুমার বসু ও আরধনা দেবী
পনের বৎসর বয়সে আমাদের দেশের বালিকারা কৈশোরের অধিসীমায় আসিয়া উপনীত হয়। সাধারণত ষোল বৎসর বয়স হইতে তাহাদের যৌবন আরম্ভ। বালকদিগের যৌবন আরম্ভ হয় সচরাচর সাড়ে সতের বা আঠার হইতে। ত্রয়োদশ হইতে পঞ্চদশ বৎসর পর্যন্ত তিন বৎসর কিশোরীদিগের দৈহিক পরিপুষ্টি বিস্ময়করভাবে দ্রুত হয়; এত দ্রুত বৃদ্ধি জীবনের আর কোন সমটিতে দেখা যায় না। সমবয়স্ক কিশোর পুরুষ এই বৃদ্ধির প্রতিযোগীতায় প্রায়ই কিশোরীর পশ্চাতে পড়িয়া থাকে। মনও তাহাদের নূতন চিন্তার রাজ্যে প্রবেশ করে; তাহাদের বুদ্ধিবৃত্তি ও জ্ঞানস্পৃহাও এই সময় সচরাচর প্রবলতর হইতে দেখা যায়।
যৌবন-নিকুঞ্জে প্রবেশ করিয়া, প্রথম তিন চারি বৎসর পর্যন্ত অর্থাৎ যোল হইতে আঠার উনিশ বৎসর বয়স পর্যন্ত দৈহিক বৃদ্ধি পরিণতির পথে অপেক্ষাকৃত ধীরে ধীরে অগ্রসর হইয়া, শেষে থামিয়া যায়। যুবতী আঠার বৎসর বয়স উত্তীর্ণ হইলে, একপ্রকার স্থিরসিদ্ধান্ত করা যায় যে, তাহার দৈহিক পরিপুষ্টি সম্পূর্ণ হইয়া গিয়াছে, আর তাহার বৃদ্ধির সম্ভাবনা নাই।
তাহার বুদ্ধিবৃত্তির বৃদ্ধিসীমাও প্রায়শ আঠার বৎসর বয়স অন্তে স্থগিত হইয়া যায় এবং তাহার সর্বপ্রকার মানসিক প্রবণতা, প্রগতি, ধারণা, আবেগ, অভ্যাস ও আকাঙ্ক্ষাগুলি মানস-মৃত্তিকায় চিরাকালের মতো বদ্ধমূল হইয়া যায়। জীবনের উত্তরকালে তাহার দেহে অনাবশ্যকভাবে অল্পবিস্তর চর্বি জমিতে পারে বটে; কিন্তু চিকিৎসা-শাস্ত্রের ‘বৃদ্ধি’ বলিতে যাহা বুঝায়, তাহা আঁঠার বৎসর বয়সের পর হইতে আর দেখা যায় না; অথচ পুরুষের বৃদ্ধি একুশ বৎসর পর্যন্ত, সময় সময় প্রায় সাড়ে চব্বিশ বৎসর পর্যন্ত একটু একটু করিয়া চলিতে থাকে।
আঠার বৎসর বয়স্কা বাঙ্গলীর মেয়েকে ‘ভরা যুবতী’ বা কামশাস্ত্রীয় ভাষায় ‘প্রগাঢ়-” যৌবনা’ বলিয়া বর্ণনা করিলে, কিছু অন্যায় হইবে না।ত্রয়োদশ হইতে পঞ্চদশ বৎসর বয়সের মধ্যে বিবাহ হইলে, নারীর বৃদ্ধি একাধিক কারণে আশানুরূপ না হইতে পারে। ইহার প্রধানতম কারণ-স্বামীর সহিত প্রথম-পরিচয়ঘটিত ও যৌনসম্মিলন-জনিত মানসিক চাঞ্চল্য, উদ্বেগ, ভয়কাতরতা, বিক্ষোভ প্রভৃতি এবং গর্ভধারণ ও প্রসব- সম্ভাবনীয়তা।
Note- ২০ পৃষ্ঠার প্রবন্ধটি পাঠ করতে উপরের লিকং হতে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করুণ
আরও পড়ুন
Leave a Reply