Description
মানবতন্ত্র
আবুল ফজল
সার-সংক্ষেপ:- সাহিত্যিকের কাছে সত্যই বড় কথা। সত্যের সঙ্গে যদি জাতীয় আদর্শ, ধর্ম বা শাস্ত্রের বিরোধ ঘটে নিঃসন্দেহে বিনা দ্বিধায় সাহিত্যিক সত্যের পক্ষাবলম্ভন করবে। সাহিত্যিকের যদি কোনো আল্লাহকে মানতে হয় তা হলে সে আল্লাহ হচ্ছেন–‘আল হককুন’ অর্থাৎ যিনি হক বা সত্য।
সত্যের বোধ না থাকলে সাহিত্যিক যেমন হওয়া যায় না তেমনি হওয়া যায় না সাহিত্যের বিচারক বা সমজদার। প্রসঙ্গত বলতেই হচ্ছে আমার রাঙ্গা প্রভাত নামক উপন্যাস পড়ে জনৈক অধ্যাপক অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে জাতীয় আদর্শ বিরোধী, পাকিস্তান বিরোধী, ইসলাম বিরোধী ইত্যাকার বহু সাংঘাতিক অভিযোগে বইটাকে সংবাদ পত্রের পাতায় অভিযুক্ত করেও ক্ষান্ত হতে পারেন নি।
সাহিত্য ও শিল্পের ওপর রাষ্ট্রীয় বিধি নিষেধ আরোপ করা হয় বলে, এরাই আবার সোভিয়েট রাশিয়ার নিন্দায় পঞ্চমুখ। এদের মতে, বিশেষ বিশেষ সম্প্রদায়ের যে ধর্ম মানবতার চেয়ে তা বড়। এ মত আমি বিশ্বাস করি না, মানিও না।
ধার্মিক না হয়েও ধর্মের নামে গদ-গদ হওয়া আর মনে সেকুলার না হয়েও সেকুলারিজমের নামে মুক্তকচ্ছ হওয়া তেমন কোনো বিরল দৃশ্য নয়। আজকের দিনে যদিও সেকুলারিজমের অর্থ করা হয় ধর্মনিরপেক্ষতা- আসলে ওটাও একটা পোশাকি ধর্ম- সাম্প্রদায়িকতার আর একটি নতুন নাম। এও এক রকম- মিটিংকা কাপড়া।
সেকুলারিজমের সঙ্গেও বৈপরীত্যের কল্পনা অবিচ্ছিন্ন। যারা সেকুলার নয় তাদের শত্রু ভাবতে সেকুলারিজম বিশ্বাসীর মোটেও বাধে।বামপন্থীদের কণ্ঠস্বরও আজ কিছু মাত্র আশাপ্রদ নয়। সম্প্রতি ভারতীয় লোকসভা ও পশ্চিম বঙ্গ আইন সভায় যে বিতর্ক দেখা গেল তা রীতিমত আতঙ্কজনক।
নিরাকার ঈশ্বরের মতো ধর্মের বৃহত্তর আদর্শ বা আবেদনও থেকে যায় ওদের কাছে তাই অনুপলব্ধ। ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতাই- কে হিন্দু আর কে- মুসলমান এ বোধটাকে খুব বড় করে তোলে। এর ফলে দুইটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরও হিন্দু মুসলমান সমস্যার মৃত্যু ঘটে নি এবং সব রকম আনুকূল্য সত্ত্বেও কোনো রাষ্ট্রেই একটা সুসংহত জাতীয়তা গড়ে ওঠে নি।
NOTE- ১২ পৃষ্ঠার ‘মানবতন্ত্র’ শিরোনামের সম্পূর্ণ প্রবন্ধটি পাঠ করতে উপরের লিংক থেকে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করুন
I pull the shakes as recommended and swap the shake meals for solid proteins clomid can u buy over the counter