Description
মহাকবি কায়কোবাদ
আহমদ শরীফ
সার-সংক্ষেপ:-আধুনিক বাঙলা সাহিত্যে মুসলিম ধারার অন্যতম উদ্গাতা মহাকবি কায়কোবাদের এন্তেকালের সঙ্গে সঙ্গে একটি যুগ ইতিহাসের পৃষ্ঠায় আশ্রয় নিল।কায়কোবাদ যে- যুগে সাহিত্য ক্ষেত্রে প্রবেশ করেন, সে-যুগে মধুসূদন, সুরেন্দ্রনাথ, হেমচন্দ্র, বিহারীলাল, নবীন সেন প্রমুখ ছিলেন প্রতিষ্ঠাবান কবি। তাঁদের প্রবর্তিত রাজপথে ও তাঁদের আদর্শের অনুসরণে কায়কোবাদের সৃষ্টি রূপ লাভ করে।
কায়কোবাদের সমসাময়িক কবি রবীন্দ্রনাথ বাঙলা সাহিত্যে যে-নতুন কাব্যাদর্শ প্রতিষ্ঠিত করলেন, গীতিকবিতার যে-উচ্ছল বন্যা বাঙলা দেশ ও বাঙালির মন প্লাবিত করেছিল, তার সঙ্গে কায়কোবাদের যোগ ছিল না। তিনি এ ধারাকে সমর্থন করতে পারেননি। তিনি উনিশ শ তেত্রিশ সালেও কাহিনীকাব্য রচনা করেছেন।
অতএব তাঁকে আমরা আধুনিক যুগে পেলেও তিনি ছিলেন বিগত যুগের শেষ প্রদীপ–সে প্রদীপ বিচিত্র অলঙ্কারে ও রূপসম্ভারে ঝড়ের ন্যায় মনোহারী আর ঔজ্জ্বল্যে সমৃদ্ধ। সুতরাং তাঁর অবদানের মূল্য যাচাই করতে হলে উপরোক্ত কবিদের রচনার পাশে রেখেই যাচাই করতে হবে। কিন্তু বিস্তৃত আলোচনার সময় আজ নয়। আমরা আজ শুধু যুগ ও পরিবেশের নিরিখে তার সাধনার গুরুত্বটি উপলব্ধি করতে প্রয়াস পাব।
পলাশীর ভাগ্য বিপর্যয়ের ফলে বাঙলার মুসলিম-জীবনে নৈরাশ্যের যে সুচিভেদ্য অন্ধকার। নেমে এল, তাতে নিতান্ত জীবন ধারণ প্রচেষ্টা ব্যতীত আর কোনোরূপ জীবন-স্পন্দনের সন্ধান মেলে না। এমনি যখন অবস্থা, তখন জীবনবোধ বা শিল্পপ্রচেষ্টা বা সৃষ্টিপ্রয়াস পঙ্গু অথবা স্তব্ধ হয়ে থাকারই কথা। ফলে মুসলমানরা নৈরাশ্যের পঙ্কেই কেবল মজল না, ঐতিহ্যবোধ পর্যন্ত হারিয়ে ফেলল। এদিকে ইংরেজ শাসক মণ্ডলী স্বার্থ প্ররোচণায় সদ্য-রাজ্যহারা স্বাধীনচেতা অসহযোগী মুসলমান–শোষণ ও হিন্দু-তোষণ নীতি গ্রহণ করে এদেশে সুপ্রতিষ্ঠিত হবার ফন্দি আঁটল।
ফল এই দাঁড়াল যে, নতুন ভূমি ব্যবস্থায় বাঙালি মুসলমান ভূঁইয়ারা রাতারাতি ফতুর হয়ে গেল। এরপরে অভাবে, অশিক্ষায় জড় মুসলমান আভিজাত্যের গর্ব ও অসহযোগের দৃঢ়তা ভুলে ইংরেজি শেখা আরম্ভ করল নতুন সমাজব্যবস্থায় মর্যাদা ও সম্পদ লাভের প্রত্যাশায়।
NOTE- ৪ পৃষ্ঠার ‘ মহাকবি কায়কোবাদ‘ শিরোনামের সম্পূর্ণ রচনাটি পাঠ করতে উপরের লিংক থেকে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করুন
clomid supplement This screen revealed that an unexpectedly large number of phosphatases can regulate apoptosis