Description
ভালোবাসা-রসের গল্প
বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়
“কশ্চিৎ প্রৌঢ়”-বরেষু
গত শ্রাবণ (১৩৪৬) ‘শনিবারের চিঠি’তে আপনার ‘ভালোবাসা’ শীর্ষক সরস রচনাটি গাড়িলাম (আপনার নিষাকের ডিলিতে আপনার ভালোবাসা সরস রচনাটি প্রকাশের ধারার বিভিন্নতা কি?-এই ধরনের অনেক কৌতূহলোদ্দীপক প্রশ্ন আছে। আপনাদেরও নিশ্চয় বলবার অনেক কথা মনে হচ্ছে এবং বলবার ইচ্ছা করছেন, সুতরাং এইবার আপনারা বলুন, আমি চুপ করি।”
বলিবার অনেক কিছুই আছে সবারই, কেন না, ও জিনিসটির হাত হইতে’ কেহ তো আর রেহাই পাইল না। আর ‘বাঘে ছুঁলেই আঠারো ঘা’-সারা জন্মে দাগ মেলায় না। তাহা হইলে যাহা জানি বলি, আপনি চুপ করিয়া শুনুন।
একটু আগাইয়া ধরিলে বলা যাইতে পারে, বাড়িতে নববধূরূপে সালক্তকচরণে তাঁহার প্রথম প্রবেশ করার সময় হইতে আপনার শুভ তত্ত্বাবধানে সেই পা-ই বাতগ্রস্ত হওয়া পর্যন্ত এই দীর্ঘ অবসরে ভালবাসার সব অবস্থারই আপনার অভিজ্ঞতা রহিয়াছে। তাহার পূর্বেরও যদি কোন অভিজ্ঞতা থাকে আপনার, অর্থাৎ পূর্বরাগের, তো সে সম্বন্ধে আপনি নীরব, সুতরাং আমার কৌতূহলও অনধিকারী। ধরিয়া লওয়া যাক-আছে, তাহা হইলে পুরুষের ভালবাসার অভিব্যক্তির প্রায় সব রূপগুলিই আপনার প্রশ্নের অর্ধেক হিস্যে বাদ দিলাম। বাকি থাকে মেয়েদের ভালবাসার অভিব্যক্তি। পুরুষ বর্বর, তাহার সমস্তটাই স্পষ্ট, তাহাকে অনায়াসেই চেনা যায়; নারী ঠিক বিপরীত ইহার, তাহাকে চেনা কঠিন, ঠিক যেমন কঠিন-পাহাড়ে উঠার চেয়ে সমুদ্রে প্রবেশ করা। তবুও তাঁহাদের ভালবাসা সম্বন্ধে যতটা জানি অথবা জানি বলিয়া বিশ্বাস, তাহার কিছু বলি।
মোহাড়াতেই বলিয়া রাখি, আমার সঞ্চয় সাক্ষাৎ অভিজ্ঞতা থেকে। তবে বিশ্বাস করুন, আমার নিজের অভিজ্ঞতা নয়, তাহা হইলেও আমি নিজের নামেই চালাইব। প্রথমতঃ ফাঁকতালে নিজেকে নায়ক করিয়া চালাইবার মধ্যে একটা নিখরচার আনন্দ আছে, আর দ্বিতীয়তঃ যাহারা ভিন্ন ভিন্ন বয়সের কথা শুনিয়া আপনি বিস্ময়ে হাত পা গুটাইয়া বসিলেন যে! সাত বছরের মেয়ে ভালোবাসার কিছু জানে না? খুব জানে। অত কথা কেন, স্থির হইয়া একটু অঙ্ক কষিয়া দেখিলেই বুঝিতে পারিবেন-জানে।
NOTE- পাঁচ পৃষ্টার গল্পটি পাঠ করতে উপরের লিকং থেকে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করুণ
Leave a Reply