Description
ভালোবাসার ডালপালা
সুদর্শন সেনশর্মা
মলা বলল, ‘আমি এর মধ্যে নেই। যা ভাল বুঝবে তাই করবে, আমার মাথায় অক কিছু আসছে না।’
সমীর বলল, ‘জয়ন্ত চলে যাবার পর চিঠি দেওয়া হল। আমি জি.পি ও.তে গিয়ে নিজে পোস্ট করেছি। তারপর টেলিগ্রাম করা হল-‘
‘কতসব কাণ্ড ঘটে গেল। জয় কি অসুস্থ হয়ে পড়ল? চিঠিপত্রের যা অবস্থা, চিঠি না পেতে পারে, কিন্তু টেলিগ্রাম? সমীর, জয়ন্তর এক বন্ধু আছে না কাছাকাছি, ওর কাছে খবর নে না বাবা’ মা বললেন।
সমীর ন্যাড়া মাথায় সদ্য গজানো কুচো চুলে হাত বুলোতে বুলোতে বলল, ‘সেও তো বিরাটি! বনগাঁ লোকালের যা অবস্থা মা! তাও যেতে হবে। জয়ন্তই বলেছি। জুলাই-এর শেষাশেষি আসবে। ওর কলকাতায় ট্রান্সফারের ব্যাপাবে রাইটার্স, স্টিফেন হাউস দু’জায়গাতেই তদ্বির করার আছে। নিজে না এলে কিছু হবে না, ও তো জানে। এতসব কাণ্ড ঘটে গেল। জানানোও হল। কিন্তু কোন সাড়া শব্দ নেই..’ অমলা বলল, ‘জয়ন্তর ওখানে কাউকে যদি ফোনে ধরা যেত। ফোন নাম্বার
তো কিছু দিয়ে যায়নি। ও তো এস.টি.ডি হবে, তাই না?’ সমীরের মা বললেন, ‘বাবা, আর্জেন্ট টেলিগ্রাম না হয় আর একটা কব না। বলবি আমি খুব…’
অমলা কথা কেড়ে নিয়ে বলল, ‘না মা, আর মিথ্যে টেলিগ্রাম আমি করতে দেব না। দেখলেন কি কাণ্ড হ’ল।’
জ্যোতিবালা স্নান হেসে বললেন, ‘না হয় আমি মরেই যাব। মরলে মরব। মরতে তো হবেই…’
অমলা দু’হাত নাড়িয়ে বলল, ‘না মা তা হবে না। তার চেয়ে বরং আপনি আপনার
ছেলেকে ভাই-এর খোঁজে জলপাইগুড়ি পাঠান….
সমীর অসহায়ের মত বলল, ‘দেখলে মা, অমলা কেমন বলছে, আমার এদ্দিন কামাই হয়ে গেল, আমি এখন কি করে যাই..’
জ্যোতিবালা বললেন, ‘তুই বিরাটিতে একটা খোঁজ নে না তবে। জয়ের চুপচাপ হয়ে যাওয়াটাই কেমন লাগছে! ওর তো আসাব কথা ছিল এমনিতেই…তাব ওপর… বৌমা দেখতো কিসের শব্দ? কলিং বেল বাজছে না? দেখতো কে এল…’
অমলা পর্দা তুলে জানলা দিয়ে রাস্তায় তাকিয়ে বলল, ‘না মা কেউ না।-ভালোবাসার ডালপালা
Note- এগার পৃষ্ঠার গল্পটি পাঠ করতে উপরের লিকং হতে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করুণ
আরও পড়ুন
ভালোবাসার জাগরণ
ভালোবাসার ট্রাপিজিয়াম
ভালোবাসা-রসের গল্প
পাখি ও গোলাপ ফুল
ধর্মে মানবিক চেতনা
সভ্যতার বিকাশ
সংস্কার ও কুসংস্কার সৃষ্টি
প্রেমে বিশেষত্ব
Leave a Reply