Description
বিপরীতকাম বনাম বসনকাম
বসনকাম ও বিপরীতকাম
ডা. মদন রাণা
প্রকাশ– ১৩৬৩ বঙ্গাব্দ
বসনকাম হচ্ছে ভিন্নলৈঙ্গিক বসন পরিধান এবং সুনিশ্চিতভাবে কামগন্ধযুক্ত। অর্থাৎ বসনকামীরা নারীর ছদ্মবেশে পুরুষ কিংবা পুরুষের ছদ্মবেশে নারী এবং এহেন ছদ্মবেশের উদ্দেশ্য অবশ্যই রতিজ।
ম্যাগনাস হির্শফেল্ড কর্তৃক কামজগতে প্রথম প্রবর্তিত ১৯১০-এ এবং ইনিই এর প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেছেন।
সমকামিতা ও অন্যান্য কামবিকৃতি থেকে স্বতন্ত্র- রূপে প্রথম প্রমাণিত এবং বিজ্ঞানসম্মত প্রথম পূর্ণাঙ্গ আলোচনার (‘দি ট্রানস্- ভষ্টাইটস’ গ্রন্থ) ‘অসামান্য কৃতিত্ব এরই। ‘ট্রান্স’ মানে বিপরীত এবং ‘ভেষ্টিস’ মানে বসন, সুতরাং ‘ট্রান্স: ভষ্টিজম’-এর অর্থ বিপরীত সাজে ভূষিত হওয়ার কটা আবেগ, এটা দুর্মর এবং বাধ্যতাজনিত। বাংলায় এরই নামকরণ পরেছি বসনকাম। আরেকটি সমার্থক শব্দ ত্রুশ-ড্রেসিং। ‘ইয়নিজম’ রূপেও খ্যাত।
অল্পব্যবহৃত এশব্দটি ফরাসী ঐতিহাসিক ব্যক্তি কেভালিয়র ডি’ইওন দ্য বুমন্ট-এর নামানুসারে সৃষ্ট এবং এর জনক হাভিলক এলিস, ১৯২৮-এ। ‘খায় একই অর্থে ‘লিঙ্গ ভূমিকা বিপর্যয়’-এর চলন সাম্প্রতিককালের। কথাটি অর্থবহতায় আরও ব্যাপক, ঘটনাবিন্যাসে আরও নিষ্ক্রিয়, বিপবীতলিঙ্গের সঙ্গে কাত্মতা আছে ঠিকই তবে কিনা আরও সমগ্রভাবে, আরও পরিপাটিভাবে এবং শেষোক্ত ঘটনারই একটি বিকাশ, বিপরীত বসন পরিধানের অভিলাষ। অর্থাৎ কিনা বসনকাম’দের কেউ কেউ বিপর্যস্তলিঙ্গ।
বিপরীতমুখী বেশবিন্যাস অল্পমাত্রায় ভীষণ ব্যাপক, বিশেষ করে রমণীকুলে। বস্তুতঃ পুরুষ অপেক্ষা মেয়েরাই অধিক আগ্রহী, বিশেষ করে শৈশবে। পরিণত বয়সেও বিপরীতলৈঙ্গিক বেশভূষা ধারণ করে মেয়েরা, পুরুষরাও। কিন্তু যথার্থ বসনকামী না হলে পুরুষরা সচরাচর নারীবেশে সজ্জিত হয় না, অবশ্য ফ্যান্সি ড্রেস, মাস্কারেড পার্টি, বল নাচ ইত্যাদি উৎসব বা প্রমোদ প্রসঙ্গ বাদ দিতে হবে।
উৎসবের অঙ্গ কিংবা বিলাসব্যসনের উপকরণরূপে নারীবেশে পুরুষ দেখা যায়। অনুরূপভাবে পুরুষবেশধারিণী নারীরও দেখা পাব যাত্রাভিনয়ে, রঙ্গমঞ্চে, ক্ষেতখামারে, ফ্যাক্টরিতে বা অন্যত্র। এরূপ ভেকধারীকে কেউ এদেরই কেউ তাই বেশভূষায় সন্তুষ্ট নয়, মেয়েদের নামে ডাকা পছন্দ করে, সংসারে মেয়েদের কাজকর্ম করে, এমন কি নারীসুলভ বৃত্তি গ্রহণেও পেছপা নয়।
১১ পৃষ্টার প্রবন্ধটি পাঠ করতে উপরের লিংক থেকে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করুন
আরও পড়ুন
বিপরীতকাম বনাম বসনকাম
Leave a Reply