Description
বিকৃতিকাম বনাম স্বাভাবিককাম
ডা. মদন রাণা
প্রকাশ– ১৩৬৩ বঙ্গাব্দ
যৌন বাসনা ও যৌন আচরণের একটা সুনির্দিষ্ট ধারা আছে। এবং এর সঙ্গে না মিললেই অস্বভাবিতার দেখা পাব। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয়, স্পষ্ট করে লেখা নেই কোথাও কী এই ধারা এবং সুনির্দিষ্ট বলতে কী বুঝব? কামস্বভাবিতার এমন কোন স্থিরচিত্র নেই যা মাপকাঠি হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই স্বভাবিতা নির্ণায়ক লক্ষণাবলীর বড়ই অভাব।
আমরা পাঁচজনে যাকেই ভাল বলব সেটাই স্বাভাবিক, আর মন্দ বললেই সেটা হবে বিকৃত। যে সমাজে বাস করি তার অনুশাসনই প্রতিফলিত অর্থাৎ কিনা স্বভাবিতার খসড়া করি আমরাই, আমরাই ঘোষণা করি কোনটা বিকৃত সমাজের অধিকাংশ ব্যক্তির মনোভাবই প্রতিভাসিত হয় স্বাভাবিক কাম ও বিকৃতকামের মধ্য দিয়ে।
অতএব সমাজনির্ভর এবং মনুষ্যসৃষ্ট। কাজে কাজেই কামস্বভাবিতার রূপটি দৃঢ়, অনড় নয় (রিজিড), বরং নমনীয়, পরিবর্তনশীল (ফ্লেক্সিবল)। চরম (এ্যাবসলিউট) নয়, আপেক্ষিক (রিলেটিভ) এবং স্থানকাল ভেদে ভিন্ন। যথার্থতঃ স্থানকাল ভেদে অবিমিশ্র প্রশংসার গৌরব কোন কামানুষ্ঠানের নেই। এক যুগে যা গর্বের এক দেশে যা স্বাভাবিক, অন্য কালে কিংবা অন্যত্র সেটাই বিকৃত, ধিকৃত। প্রকৃষ্ট দৃষ্টান্ত: সমকামিতা।
পূর্বেই বলেছি, যৌনব্যাপারে কোন যথার্থ ও প্রামাণ্য ষ্ট্যান্ডার্ড (মাপকাঠি) নেই, কারণ স্বভাবিতার সংজ্ঞাবদল হয় দেশ থেকে দেশে, যুগ থেকে যুগে। একম্বা কোন একটি যৌনতা স্বীকৃত হয়েও অন্য কালে বা অন্য স্থলে বিকৃতরূপে পরিত্যক্ত। এমন কি একই সমাজে যৌনবিষয়ক স্বভাবিতা প্রসঙ্গে প্রতিটি জনের ধারণা সমান নয়। এক কথায়, পৃথিবীতে এমন কোন আচরণ নেই যার শিরোপরি নিন্দা বর্ষিত হয়নি কোনদিন কিংবা সমাদর পায়নি। কয়েকটি দৃষ্টান্ত দিই:
একদিন ভ্রাতার্ভগিনী বিবাহ ফ্যারাওদের প্রিয় ছিল। ইদানীং স্বজনাবিবাহ (এস-কাজিন বিবাহ) নিষিদ্ধ। শুধু যে বাৎস্তায়নের কালে উঁকি দিত তা নয়, আধুনিক দম্পতির শয্যাপ্রাঙ্গণে আসনটি পাকা করে নিয়েছে যে মুখরত, সেই।
১৭ পৃষ্টার প্রবন্ধটি পাঠ করতে উপরের লিংক থেকে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করুন
আরও পড়ুন
বিকৃতিকাম বনাম স্বাভাবিককাম
Leave a Reply