Description
বস্তুকাম
ডা. মদন রাণা
প্রকাশ– ১৩৬৩ বঙ্গাব্দ
বস্তুকাম হচ্ছে সেই কামবিকৃতি যেখানে যৌনতার আকর্ষণ সমগ্র ব্যক্তি নয়, ব্যক্তির অংশবিশেষ, যেমন গোপনাঙ্গ বাদ দিয়ে দেহের কোন বিশেষ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। কিংবা ব্যক্তিসম্পর্কিত কোন জড় বস্তু অথবা প্রতীকী কোন ক্রিয়া। অর্থাৎ বস্তুকাম নামক ভূষণটি তখনই ব্যক্তিবিশেষে প্রযোজ্য হবে যখন তার ভালবাসা কোন জড় বস্তুতে সমর্পিত যেমন নারীর বেশবাসে (দস্তানা, বিশেষ রংয়ের জামা, পুরনো ধাঁচের জুতো) কিংবা নারীর কোন বিশেষ দ্রব্যে (ভেলভেট, ম্যাকিন্টস)।
কিংবা তার কামভাব গোপনাঙ্গ ব্যতীত নারীদেহস্থ কোন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে, যেমন পুরু ওষ্ঠাধর, ঘন কেশদাম। কোথাও দেহের বিকৃতি চরম আকর্ষক, উদাহরণস্বরূপ পঙ্গু রমণী, বিকলাঙ্গদেহা, ক্রাচপরিহিতা খঞ্জপাদ নারী কোন কোন পুরুষের কাছে বিহ্বলদায়ক। কচিং কখন এটা আচারমূলক, অতিশয় বিরলক্ষেত্রে নারীর কোন বিশেষ কার্যকলাপ-ধূমপান, কাশি-পুরুষকে জাগ্রত করতে পারে।
বস্তুকামের ইংরেজী প্রতিশব্দ ফেটিশিজম শব্দটির জনক ফরাসীদেশীয় এ্যাল- ফ্রেড বিনেট (১৮৮৮)। ‘কামজ প্রতীকতা’ ব্যবহার করেছেন প্রথমে ইউলেন- বার্গ, পরে হ্যাভলক এলিস। কালের দরবারে ফেটিশিজমই টিকে গেল, একমাত্র কারণ এই যে এটা যেমন সর্বজনগ্রাহ্য তেমনি জনপ্রিয়। এই শব্দটি এসেছে ‘ফেটিশ’ থেকে যার অর্থ ম্যাজিক বা ভক্তির বস্তু। আদিতে ব্যবহৃত হত শুধুই জড় বস্তুতে, বস্তুতঃ আদিবাসীদের ধারণায় কোন কিছু ম্যাজিক গুণের অধিকারী হলেই পুজিত হবে।
বর্তমানে এই অর্থ ব্যাপকতর হয়েছে, অহৈতুক পূজিত বস্তুতে বা ব্যক্তিতে আরোপিত। প্রেমিক প্রেমিকার সঙ্গে এমন সব কাণ্ড- কারখানা করে, মনে হবে সে যেন ম্যাজিকগুণান্বিতা, এটাই স্বাভাবিক, তথাপি বস্তুকামিতার লক্ষণ নয় কদাচ। কিন্তু এই ম্যাজিকই যখন সমগ্র ব্যক্তির বদলে তা সঙ্গিহর কোন অংশে, দেহাতীত কোন বস্তুতে কিংবা কোন প্রতীকী পরিবর্তে ধর্ষকামীর যৌত, প্রকৃত বস্তুকামের উদাহরণ হবে। যথার্থই, ম্যাগনাস হির্শফেল্ড পাচ্ছে না (এ বস্তুকাম হচ্ছে একপ্রকার বিশেষ রতি-পৌত্তলিকতা। এই দুর্বলতাই ঐ কামপাত্র নারী, কিন্তু নারীনির্বিশেষে সকলেই নয়। শতসহস্র রমণীর মধ্যে একটি কি দুটি রতিজাগানিয়া।
৯ পৃষ্টার প্রবন্ধটি পাঠ করতে উপরের লিংক থেকে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করুন
আরও পড়ুন
Leave a Reply