Description
বঙ্গভাষা বনাম বাবু ভাষা
(বঙ্গভাষা বনাম বাবু ভাষা ওরফে সাধু ভাষা)
প্রমথ চৌধুরী
প্রবন্ধের সারাংশ:- বিদ্যালংকার মহাশয়ে মতে ‘ বাক্য কহা বড় কঠিন ‘। কহার চাইতে লেখা অনেক বেশি কঠিন, এ সত্য বোধ হয় ‘ অভিনাব যুবক ‘ বঙ্গলেখক ছাড়া আর কেউ অস্বীকার করবেন না। Art এবং Artlessness এর মধ্যে আসমান জমিন ব্যবধান আছে, লিখিত এবং কথিত ভাষার মধ্যেও সেই ব্যবধান থাকা আবশ্যক। কিন্তু সে পার্থক্য ভাষাগত নয় স্টাইলগত।
লিখিত ভাষার কথাগুলো শুদ্ধ সুনির্বাচিত এবং সুবিন্যস্ত হওয়া চাই এবং রচনা সক্ষিপ্ত ও সুসংহত হওয়া চাই। লেখায় কথা উল্টানো চলে না, বদলানো চলে না, পুনরুক্তি চলে না এবং এলোমেলো ভাবে সাজানো চলে না।
‘ সাহিত্যিক ‘ এই বিশেষণটি বাংলা কিংবা সংস্কৃতি কোন ভাষাতেই পূর্বে ছিল না, এবং আমার বিশ্বাস, উক্ত দুই ভাষার কোনটিরই ব্যাকরণ অনুসারে ‘ সাহিত্য ‘ এই বিশেষ্য শব্দটি ‘ সাহিত্যিক ‘ বিশেষণে পরিণত হতে পারে না। বাংলায় নব্য ‘ সাহিত্যিক ‘দের বিশ্বাস যে, বিশেষ্যের উপর অত্যাচার করলেই বিশেষণ হয়ে উঠে।
জীবনের ধর্মই হচ্ছে পরিবর্তন। জীবন্ত ভাষা চিরকাল এক রূপ ধারণ করে থাকে না, কালের সঙ্গে সঙ্গেই তার রূপান্তর হয়। চসারের ভাষায় আজকাল কোন ইংরেজ লেখক কবিতা লেখে না, শেক্সপীয়ারের ভাষাতেও লেখে না। কালক্রমে মুখে মুখে ভাষার যে পরিবর্তন ঘটেছে তাই গ্রাহ্য করে নিয়ে তাঁরা সাহিত্য রচনা করেন। আমাদেরও তাই করা উচিত।
[NOTE- ১১ পৃষ্ঠার ‘ বঙ্গভাষা বনাম বাবু ভাষা ‘ শিরোনামের প্রবন্ধটি পাঠ করতে উপরের লিংক থেকে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করুন।]
Be the first to review “বঙ্গভাষা বনাম বাবু ভাষা”