Warning: Undefined array key "options" in /home/prabandh/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/theme-builder/widgets/site-logo.php on line 124 প্রেম,কাম ও বিবাহ - Prabandha Archive
Skip to content
পৃথিবীর যাবতীয় প্রাণী-জগৎ সম্বন্ধেই আলোচনা করিলে দেখা যায়, প্রত্যেকেরই একটা নিজ নিজ সহজাত প্রবৃত্তি (instinct) আছে যাহা তার সকল কর্মধারা ও জীবনকে পরিচালিত করে। এই যে সহজাত বা বংশগত স্বতঃস্ফূর্ত বুদ্ধি ও চেতনা-মনোবিজ্ঞানবিদেরা তাহার নাম দিয়াছেন traditional consciousness বা জাতিগত চেতনা। যেরূপ পারিপার্শ্বিক আবহাওয়ার মধ্যে যে প্রাণীকে জীবনধারণ করিতে হয়, জীবন-সংগ্রামে যুঝিবার জন্য সেই প্রাণীকে প্রকৃতি তেমনি দৈহিক অবয়বও প্রদান করিয়াছে।
মানুষেরও যাবতীয় কর্মকে অনুপ্রাণিত করে তাহার সহজাত প্রবৃত্তি ও বিচারবুদ্ধি (reason)। সহজাত প্রবৃত্তি সৃষ্টির প্রারম্ভ হইতেই অন্যান্য প্রাণীদের মত মানব-চরিত্রেও প্রোথিত হইয়া আছে। এই সহজাত প্রবৃত্তিই মানুষের কর্ম ও প্রকৃতির আদি প্রেরণা। কিন্তু বিচারবুদ্ধির উদ্ভব হইয়াছে মানুষের জ্ঞান ও ভাববিকাশের সঙ্গে সঙ্গে।
সহজাত প্রবৃত্তি প্রত্যেক প্রাণীরই অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী। কিন্তু প্রত্যেক প্রাণীর মধ্যেই যে সহজাত প্রবৃত্তি থাকে, তাহার উৎপত্তির কারণ দুইটী: (১) বংশানুগত কর্মধারা ও (২) দৈহিক গঠন।
প্রথমটা অর্থাৎ বংশানুগত কর্মধারা-আদি সৃষ্টিকাল হইতে যুগ যুগান্তর ধরিয়া যে প্রাণী যে যে বিশেষ কৰ্ম্ম করে, তাহা পুনঃ পুনঃ কোটী কোটাবার সেই প্রাণীর মধ্যে অনুষ্ঠিত হইবার ফলে ঐ কর্ম্মের একটা স্বতঃস্ফূর্ত বুদ্ধি তাহার চেতনরাজ্যে নিতান্ত স্বাভাবিক ভাবেই মিশিয়া থাকে। তাহার এই জাতিগত চেতনাকেই সাইকোএনালিষ্টগণ বলিয়া থাকেন traditional consciousness.
দ্বিতীয়তঃ দৈহিক গঠন। –যে প্রাণীকে যেরূপ পারিপার্শ্বিক আব- হাওয়ার মধ্যে জীবনযাপন করিতে হয়, প্রকৃতি তাহার সেইরূপ দেহ ও প্রতি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ গড়িয়া তুলিয়াছে। সৃষ্টির প্রারম্ভ হইতে সেই প্রাণীর সেই সব বিশেষ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিশেষ বিশেষ কাজে ব্যবহার করিয়া ‘আসিতেছে এবং যুগ যুগান্তকাল তাহা ব্যবহারের ফলে একটা সহজাত প্রবৃত্তি সেই প্রাণীর মধ্যে বদ্ধমূল হইয়া গিয়াছে।
কোন কোন প্রাণীর সেই সহজাত কতকগুলি প্রবৃত্তি তাহার বর্তমান জীবনযাত্রা পথে প্রয়োজন না হইলেও তাহা হইতে সে বিরত হইতে পারে না। [উদাহরণ স্বরূপ ইদুরের কাঠ, কাপড় প্রভৃতি শুধু শুধু কুচি কুচি করিয়া কাটা, গণ্ডারের শিং দিয়া কাদা ঘাঁটা, বিড়ালের নখ দিয়া মাটী আঁচড়ানো প্রভৃতি কার্য্য তাহাদের কোন প্রয়োজন না থাকিলেও উহা না করিলে তাহারা সুস্থবোধ করে না।]
৫৮ পৃষ্টার প্রবন্ধটি পড়তে উপরের লিংক থেকে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করুন
Leave a Reply