পুশকিনকে রাশিযার বাইরন বলা হ’ত এবং ঔপন্যাসিক হিসাবে তাঁ’র স্থান টলষ্টয় বা টুবগেনিভ-এর পরেই। Oregin নামক বিখ্যাত উপন্যাসের নায়িকা টিটানিয়াব (যিনি Oregin এর প্রেমে পড়েছিলেন) চরিত্রের সঙ্গে বিশ্বসাহিত্যেব যে কোন নারী চবিত্রের তুলনা করা যেতে পাবে।
পুশকিন তাঁর স্ত্রীকে যে চিঠি লিখেছিলেন তা থেকেই তাঁর সরল রসিক হৃদয়ের পরিচয় পাওয়া যায়।
বল্ড্রিনো-৩০।১০।১৮৩৩
প্রাণাধিকে, কাল তোমার দু’খানা চিঠি পেলাম। আমি তোমার কথাই কেবল ভাবি।
লোকে তোমার পেছনে ঘোরে তাতে তোমার আনন্দ হয় -অন্তত তাই হ’ল গিয়ে তোমার আনন্দের কারণ! মধু থাকলেই মৌমাছির ঝাঁক আপনিই এসে জোটে, তোমার প্রেমের মধুপানের জন্য মধুপদের আর তোমার আহ্বান করতে হবে না!
ওগো আমার প্রেমের দেবী আমার চুমা নাও। তুমি যে মন খুলে তোমার প্রেমের কথা সবিস্তারে বলতে পেরেছ তার জন্য তোমায় শত শত ধন্যবাদ। তোমার দিন আনন্দে কেটে যাক্ কিন্তু একেবারে ডুবে যেওনা সুন্দরী! আমার কথা মনে রেখো, ভুলো না আমি আর থাকতে পারছি না, তোমায় দেখবার জন্য আমার মন বড় ব্যাকুল হয়েছে। কেমন নাচ গান চলছে? ভেবনা যে আমার হিংসা হচ্ছে- কারণ আমি জানি যে তুমি একেবারে সীমা ছাড়িয়ে যাবে না!
যা ‘ভাল্ল্গার’-পঙ্কিল-তা আমি পছন্দ করি না। তোমার বন্ধুর হালচাল একটু বদলেছে-যদি আমার চোখে ঠেকে তবে ফিরে গিয়ে নিশ্চয় বিচ্ছেদের ব্যবস্থা করব-মনের দুঃখে আমি যুদ্ধে চলে যাব। তুমি জিজ্ঞাসা করেছ আমি কেমন আছি, আমাৰ দিন কেমন কাটছে!
পুরুষকে যাতে লোকে পুরুষ বলে বুঝতে গারে সেইজন্য আজকাল আনি গোঁফ দাড়ি রাখতে আরম্ভ করেছি-সেই ত হ’ল পুরুষের অলঙ্কার। আমি যখন রাস্তায় বের হই-লোকে আমায় খুড়ো মশাই বলে। আমি ৭টায় উঠি-একটু কফি খাই! ৩টা পর্যন্ত প্রায় ঘরেই থাকি। তিনটায় খানিকটা ঘোড়ায় চড়ে বেড়িয়ে আসি। পাঁচটার সময় স্নান কবি-তার পর খাবার আসে আলু সিদ্ধ ও রুটি। ন’টা পর্যন্ত পড়াশুনা করি। এমন করেই দিন কেটে যায় রোজ এক রকম।
Leave a Reply