Description
প্রিয়জন যখন অপারেশন হলে
সীমা সোম বিশ্বাস
কী ব্যাকুল হয়ে আছি চেয়ে
আমরা তিন বোনে
অপারেশন ঘরের পানে।
নিয়ে গেল আমাদের সামনে থেকে ছোড়দিকে! এখনই বড় অপারেশন
বন্ড সই করতে হবে
ডঃ বলছেন। হাত -পা কাঁপছে,
ছোড়দি চেয়ে আছে আমাদের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে
কিনা উথাল পাতাল হচ্ছে ওর মনে!
সুগার প্রেসার উচ্চ হারে বাড়ছে ততক্ষণে!
আবার ডঃ বললেন এসে
দু’ইউনিট রক্ত আনতে হবে এখনই…!
ছুঁটে গেলাম আমি আর খুকু
রক্ত নেই ব্লাড ব্যাংকে!
কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলছি! মুহূর্তে হাতের মুঠোয় ফোনটা বেজে উঠলো,
ওপার থেকে বনি বলে উঠলো
সেজদি চলে আয় হাই রিস্কে সই
করতে হবে, ভয় লাগছে!
এলাম ছুঁটে… ততক্ষণে বনি
করেছে সই।
অপেক্ষায় রইলাম- মুহূর্তগুলো মনে হচ্ছে এক একটা যুগ..!
সবাই আসছে ও,টি থেকে
দিদির খবর নেই! ঘণ্টা তিনেক পরে
বনি জড়িয়ে আমায় বলল অনেক আবেগে ,”মেজদিকে নিয়ে ফিরবো তো বাড়িতে নাকি লাশ নিয়ে….?”
ওরা দু’বোন ক্রমশঃ দুর্বল হয়ে পড়ছে দেখি!
আমিও নির্বাক; হারিয়ে যাওয়া প্রিয়জনদের মুখ ভেসে ভেসে
উঠছে ততক্ষনে।
বুকে পাথর চেপে সান্তনা দিই ওদের।
অবশেষে পাঁচ ঘণ্টা পর দরজা গেল খুলে , হাসি মুখে ডঃ বললেন এসে
“ভালো আছে দিদি”।
সেদিন পি,জি-র ডাক্তাররাই ছিলেন
আমাদের জীবন্ত ঈশ্বর।
লেখক- কবি ও কথাশিল্পী
আরও পড়ুন-
Leave a Reply