Description
প্রাচীন সমাজে যৌনতা
রমেন্দ্রনাথ দে
প্রকাশ ১৩৪৯ বঙ্গাব্দ
লক্ষ লক্ষ বছর আগে অনার্য্য মানুষের যুগে দৃষ্টিনিবদ্ধ করিলে আমরা দেখিতে পাই, তখন একজন পুরুষ বহু স্ত্রীলোকের অধিশ্বর হইয়া পাহাড়ের গুহায় বাস করিত। প্রথমতঃ একটা পুরুষ একজন স্ত্রীলোককে লইয়াই নীড় বাঁধিত ও তাহার সহিত যৌন-সংযোগের অবশ্যম্ভাবী ফলস্বরূপ ঐ রমণীর গর্ভে যেসমস্ত পুত্রকন্যা জন্মাইত তন্মধ্যে পুরুষ সন্তানগুলিকে পিতা হয় হত্যা করিত নতুবা একটু বড় হইলেই তাহাদিগকে দূর করিয়া তাড়াইয়া দিয়া কেবলমাত্র কন্যাগুলিকে নিজের কাছে রাখিয়া দলপুষ্ট করিত এবং সেই ক্যাগুলি ক্রমে ক্রমে একটু বড় হইলে পিতাই হইত তাহাদের স্বামী, রক্ষাকর্তা ও রমণকর্তা।
যৌনসহবাসের ফলে সেই কন্যাগণের গর্ভেও আবার সন্তান আসিত ও তাহাদের সন্তান-সমূহ হইতেও পুনরায় স্ত্রী-শিশু রাখিয়া পুংশিশুগুলিকে হত্যা বা বিতাড়িত করিত। অতঃপর আবার সেই পুনরাবৃত্তি। এমনি করিয়া একটা পুরুষ অগণিত নারীর অধিশ্বর হইয়া বিভিন্না বয়সের বালিকা, কিশোরী, তরুণী, যুবতী, প্রৌঢ়া ভার্য্যাগণের সঙ্গে প্রয়োজন মত সহবাসরত হইত। ঐ একটামাত্র পুরুষকে বিভিন্ন বয়স্কা অসংখ্য নারীর যৌনক্ষুধা মিটাইতে হইত। তখনকার দিনে নারীগণ ঋতুস্নাতা হইলে পর অতিমাত্রায় কামার্তা হইয়া পড়িতেন।
এদলে অনেক নারী হয়ত একই সময়ে ঋতুস্নাতা হইত, আবার অনেকে হয়ত বিভিন্ন সময়ের পরিবর্তনে পর পরও ঋতুমতী হইত। কাজেই সেই পুরুষের বিভিন্ন রমণীকে প্রত্যহই যৌনসঙ্গ দান করিতে হইত অনেকবার করিয়া। সেই দলে প্রৌঢ়া, যুবতী, তরুণী, কিশোরী প্রভৃতি নানা বয়সের অনেক স্ত্রীলোকই থাকিত এবং তাহাদের সকলের যৌনক্ষুধাও সমান হইত না।
প্রৌঢ়া ও অল্পবয়স্কাদের যৌনক্ষুধার পরিতৃপ্তি সেই এককপুরুষ সহজে আনিয়া দিতে পারিলেও যৌবনপীড়িতা যুবতীদের সকলের কামপরিতৃপ্তি দান করা তাহার পক্ষে বড় সহজ হইয়া উঠিত না, অথচ যে কোন সময়েই তাহাকে প্রস্তুত না থাকিয়া উপায় ছিল না। অতি কামার্তা নারীরা বার বার যৌনসঙ্গ লাভ করিতে চাহিলেও সেই দলপতিপুরুষকে তাহা দান করিতেই হইত।
৮০ পৃষ্টার প্রবন্ধটি পাঠ করতে উপরের লিংক হতে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করুন
আরও পড়ুন
প্রেম,কাম ও বিবাহ
প্রেম,কাম ও বিবাহ
স্বমেহন
প্রেমপত্র-ইউলিয়াম শেক্সপিয়র
শিল্পচিন্তা
সৃষ্টিতত্ত্ব- পদার্থ বিষয়ক
সৃষ্টিবাদ ও বিবর্তনবাদ
পাখি ও গোলাপ ফুল
যৌন অস্বাভাবিকতা
প্রেমে বিশেষত্ব
একুশ শতকে নারী
যৌনবোধেরর স্বাভাবিক বিকাশ
প্রাচীন সমাজে যৌনতা
Leave a Reply