Description
প্রদর্শনকাম বনাম নিরক্ষণকাম
ডা. মদন রাণা
প্রকাশ– ১৩৬৩ বঙ্গাব্দ
তিলমাত্র দৈহিক সম্পর্ক নেই, তথাপি রতিতৃপ্তি সম্ভব, বিলসনকামিতা আর ঈক্ষণকামিতার মাধ্যমে। বিলসনকাম হচ্ছে প্রকাশ্যে গোপনাঙ্গ প্রদর্শন, আমি এর নাম রেখেছি প্রদর্শনকাম, ইংরেজীতে একেই বলা হয় এক্সজিবিসনি- জম। আইনের চোখে অশ্লীল আচরণ, ইনডিসেন্ট এক্সপোজার।
সচরাচর উত্থিত অবস্থায়, কখনবা শিথিল, পুরুষাঙ্গ প্রদর্শিত হয় এক বা একাধিক পথচারীকে। পথচারীরা সাধারণতঃ নারীই, যে কোন বয়সের নারী, শতকরা পঞ্চাশজনের বয়স ষোলর নীচে অর্থাৎ স্থলকন্যারাই এই প্রদর্শনের লক্ষ্য। কয়েকটি স্থান বিলসনকামীদের খুবই প্রিয়, এরা প্রায়ই জমায়েৎ হয় বাগানে ময়দানে, নির্জন গলিতে, রেলের কামরায়, স্কুলপ্রাঙ্গণে। কখন বেছে নেয় উন্মুক্ত স্থান কিংবা জনবহুল প্রকাশ্য স্থান। যেমন চলন্ত রেলযাত্রীদের প্রতি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে রেল লাইনের ধারে যায়, এমন কি থিয়েটার, ধর্মোপাসনা- স্থল, পূজাপ্রাঙ্গণও বাদ যায় না।
শিস দিয়ে, কাশি দিয়ে, অশ্লীল শব্দ উচ্চারণে, মিষ্টি বা পয়সা ছুঁড়ে দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে, তারপর প্রদর্শন। কিন্তু শুধু প্রদর্শনই যথেষ্ট নয়, যাকে দেখাবে তার মুখেচোখে প্রতিক্রিয়া-চিহ্ন অবশ্যই অঙ্কিত হবে। লজ্জা ভয় আড়ষ্টতা, দুহাতে চোখ বুজে শিউরে ওঠা, ভীতিবিহ্বল বিস্ফারিত নয়ন, রক্তিমাভ মুখে ঘৃণা বিরক্তি আতঙ্কর ছবি, কিংবা ত্রস্ত হরিণীর মত ভীতচকিত- পদে পলায়ন-এবংবিধ প্রতিক্রিয়ারাজিই তাকে প্রবলভাবে উত্তেজিত করবে, এনে দেবে তৃপ্তি। স্খলন বা উত্থান হলেই ত্বরিতগতিতে আত্মগোপন।
কিংবা পাণিমেহন, প্রদর্শনশেষের আরেকটি বহুদৃষ্ট ঘটনা। বিশেষভাবে লক্ষণীয়, এরা প্রদর্শনেই ক্ষান্ত, কখনও নারীকে কোন প্রস্তাব করে না, কোন দাবি- দাওয়া নেই, এদের প্রত্যাশা শুধু আবেগজ প্রতিক্রিয়া-শক্, বিহ্বলতা, ঘৃণা, আতঙ্ক। অর্থাৎ বিলসনকামীদের মূল বৈশিষ্ট্য এই, এদের আনন্দ চক্ষুরাগেই -নারীমুখের প্রতিক্রিয়া দর্শনেই। রতিতৃপ্তির উৎস এটাই এবং পূর্বোক্ত প্রতিক্রিয়ার তীব্রতা ও মাত্রাভেদে তৃপ্তিলাভ কখন পূর্ণ, কখন অপূর্ণ। প্রসঙ্গতঃ বলে রাখা ভাগ, সম্মত নারীকে গোপনাঙ্গ প্রদর্শনে কোন আগ্রহ নেই এদের।
৫ পৃষ্টার প্রবন্ধটি পাঠ করতে উপরের লিংক থেকে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করুন
আরও পড়ুন
প্রদর্শনকাম বনাম নিরক্ষণকাম
Leave a Reply