Description
পিতৃপরিচয়হীন সন্তান
ডা. মদন রাণা
প্রকাশ– ১৩৬৩ বঙ্গাব্দ
অনুরাগে ভর দিয়ে একটি পুরুষ আর একটি নারী হিয়ে হিয়া রাখতে পারে, ফলে এই নারীর কোল আলো করে সন্তান আসতে পারে। এখন এই পুরুষটি হল ঐ সন্তানের পিতা এবং এই নারী তার মা। এবং এপিতৃত্ব যাতে না অস্বীকার করতে পারে তার জন্যেই ‘বিবাহ’ নামক সমাজব্যবস্থার প্রবর্তনা।
পক্ষান্তরে ঐ নারীর গর্ভে পরপুরুষজাত সন্তান আসতে পারে, তাই না রমণীর সতীত্বব্যাপারে সমাজ এত সচেতন, নারীর স্খলন এবং অবৈধ সন্তানে এত রক্তচক্ষু, একনিষ্ঠতা বা একপরায়ণতার দাবি এত সোচ্চার।
নিজ জঠরে স্থিত গর্ভ’ কিংবা প্রসূত সন্তানকে নারী কোনদিনই অস্বীকার করতে পারে না, চাক্ষুষ প্রমাণকে উড়িয়ে দেওয়ার যে জো নেই! কিন্তু কে তার পিতা, যত গোলযোগ এখানেই।
কেই বা তারস্বরে বলতে পারে এ- ব্যক্তিই তার পিতা? এবং এসন্তান যে অন্যপুরুষজাত নয় কী তার প্রমাণ? সত্যি বলতে, শক্ত কব্জির হাতে আঙ্গুল উঁচিয়ে ধরার মত অভ্রান্ত, অব্যর্থ, সুনিশ্চিত প্রমাণ নেই। সত্যিকারের বিবাহিত পিতাই বেঁকে বসলে কত না কাঠ খড় পোড়াতে হয়, আর অবিবাহিত হলে তো কথাই নেই। যত সমস্যা এখানেই। এদুটি সমস্যার একটি সমাধান বিবাহ, আরেকটি সমাধান সতীত্ব।
ছক কাটা এদুই পথের বাইরে গেলেই ইংরেজীতে যাকে বলে ‘ইল্লেজেটি- মেসি’ সেই অবৈধতার আবির্ভাব, প্রধানতঃ বিবাহের পূর্বেই, কখন কখন ছায়া পড়ে বিবাহিত জীবনেও। প্রথমটি ‘কানীন’ গর্ভ, দ্বিতীয়টি ‘গৃঢ়োৎপন্ন’। আরেকটি প্রকারভেদ সম্ভব, ‘সহোঢ়’ গর্ভ’।
কুমারী কন্যার গর্ভোৎপন্ন সন্তান দ্বাদশ পুত্রের একতম। আধুনিক সমাজে ৪% থেকে ১০% সন্তান এভাবে জাত, প্রাচীন মহাভারতের সমাজেও খুঁজে পাব, দৃষ্টান্ত, ব্যাসদেব, কর্ণ। সংস্কৃত ভাষায় এর নাম ‘কানীন পুত্র’, চলতি কথায় অবৈধ সন্তান (ইলেজেটিমেট, বাস্টার্ড’)। আর কন্যাকে বলি কুমারী মাতা (আনওয়েড বা সিঙ্গল মাদার)। অনুঢ়ার সন্তানকে আদর করে প্রকৃতির পুত্র (ন্যাচারাল চাইল্ড) বা কামসুত (লাভ চাইল্ড) নামেও ডাকা হয়।
১৮ পৃষ্টার প্রবন্ধটি পাঠ করতে উপরের লিংক থেকে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করুন
আরও পড়ুন
পিতৃপরিচয়হীন সন্তান
Leave a Reply