Description
নারীর ভাগ্য
লেখক- প্রফুল্ল্ময়ী দেবী । সূত্র-১৯২১ সালে প্রকাশিত সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক নারায়ণ পত্রিকা থেকে সংগ্রহীত।
পিতা তারাকান্ত বাবু পুত্র নিশিকান্তের পড়িবার ঘরে ঢুকিয়া গম্ভীর ভাবে বলিলেন “আরত দেরী করা চলে না নিশি, তোমার মার প্যানপেনি দিন দিনই বাড়চে”-
নিশি “রোমান্স” এক খানি টেবিলের উপর রাখিয়া জিজ্ঞাস্থ ভাবে পিতার দিকে চাহিয়া বলিল, “কিসের দেরী বাবা!”
শীতকাল। তারাকান্ত বাবু গায়ের কাপড় খানা টানিয়া গায় দিয়া খাটের উপর বসিয়া বলিলেন, “আর কিসের দেরী বাবা! মাধুরী যে মস্ত বড় হ’য়ে পড়েছে দেখচো না! এই মাঘ মাসে ১৪ পূর্ণ হ’য়ে পনেরতে পড়বে। বিদেশে আছি তাই রক্ষে, নইলে যে বাড়ন্ত মেয়ে, দেশ হ’লে এদ্দিনে একঘরে করত। দাদা ত ফিরেও তাকান না।”
নিশি ঈষৎ হাসিয়া বলিল, “যতবড় ভাবচেন বাবা, মাধু ততবড় হয়নি কিন্তু! ওটাতে আমাদের সংস্কারও আছে খানিকটা বার বছরে যদি বিয়ে না দেওয়া গেল, আমরা নিজেরাই মনে করি মেয়েটা যেন হাতী হ’য়ে উঠেছে,
পাড়াপড়শী বন্ধে তাতে আর কথা কি? বেশ পড়ছিল, ইস্কুলও ছাড়িয়ে দিলেন!”
অন্য সময় হইলে পিতা বৰ্ম্মা সিগার ধরাইয়া এই বিষয় লইয়াই মণ্ডস্ততর্ক জুড়িয়া দিতেন, এবং যতক্ষণ সেই তর্কের আদিম বস্তু মাধুরী আসিয়া খুল্লতাতকে একরূপ টানিয়া অন্ত্য বিষয়ে মনঃ সংযোগ না করাইত, ততক্ষণ তর্ক কিছুতেই খামিত না। কিন্তু আজ আর তিনি তর্কের দিকে না গিয়া বলিলেন, “না, ও বেশ হ’য়েছে! Fourth class এই ইস্কুল ছাড়ান উচিত ছিল। যাক্সে, যা হ’য়েছে বেশ হরেছে। অগ্রাণের, শেষেই এবার কঙ্কনে শীত পড়েছে। আমারও সর্দি কাশিটা যাচ্ছে না।
তা না হ’লে, বুঝতে পেরেছ নিশি, আমি নিজে গিয়ে সম্বন্ধটা ঠিক করে ফেলুম।” নিশি বলিল, “অকুলীন যে! জ্যেঠা- মহাশয়ের কি পছন্দ হবে?” তারাকান্ত বাবু শুইয়া সিগারেট টানিতেছিলেন। একমুখ ধোঁয়া ছাড়িয়া বলিলেন, “তাঁর কথা ছেড়ে দাও। গরজ ত তাঁর নয় গরজ আমাদের-
সম্পূর্ণ প্রবন্ধটি পাঠ করতে উপরের লিংক থেকে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করুন
আরো পড়ুন
স্ত্রী চরিত্র
ধর্মীয় সৃষ্টিতত্ত্ব
সঙ্গম তীর্থ
পূর্ণবয়সে যৌনবোধ
যৌনবোধেরর স্বাভাবিক বিকাশ
যৌবনান্তে যৌনজীবন
কামিনী ও মৃম্ময়ী- এক
নারীস্তনের যৌনতা
নিষিদ্ধ সৃষ্টি
হিন্দু দর্শন
নারীর ভাগ্য
Leave a Reply