Description
নারীজন্ম
জটাধারী শর্ম্মা
উৎস: প্রবন্ধ-রত্ন গ্রন্থ, প্রকাশ ১৮৮৪ সাল
কেন আসিলাম হায় এ পাপ সংসারে ?
কেন লভিলাম জন্ম বাঙ্গালীর ঘরে।
সারাংশ:- নারী জন্ম বড় পাপ, বিশেষতঃ ভারতবর্ষে সর্বাপেক্ষা বঙ্গদেশে। কেবল জন্ম দোষেই আমরা ছোট, পুরুষ বড়। হাজার বুদ্ধিমতিই হই, হাজার গুণবতী হই, তবু পুরুষদিগের বিচারে বার হাত কাপড়ে কাছা নাই। কাছা নাই, সত্য, কিন্তু কাছা থাকিয়াই যে, তাহারা কি ইন্দ্রত্ব লাভ করিতে পারিছেন, তাওত দেখি না। তবে তাহারা বাঙ্গালী পুরুষ, কাছা আটায় সুবিধা আছে, পলায়নের বেলায় বেশ সহজ কার্য সিদ্ধ হয়।
নারী জন্ম বড় পাপা ! পূর্বাজন্মাচরিত পাপের ফলে যদি একটি কন্যা সন্তান হইল, অমনি যেন বাড়িশুদ্ধ লোকের মাথায় আকাশ ভাঙিয়া পড়িল। মাতা কন্যা সন্তান প্রসব করিয়াছেন বলিয়া আপনাকে বড় হতভাগিনী মনে করিলেন। পতি প্রেম হারাইবার ভয়ে নীরবে দীর্ঘ নিস্বাস ফেলিলেন।
কন্যা সন্তানের অনাদর করিতে বাঙ্গালীরা অন্যের কাছে শিখে নাই। এ প্রবৃত্তি এই মাটিরই ফসল। যে বাঙ্গালী পিতার শ্রাদ্ধ ইংরেজের অনুকরণে সমাধা করেন, কিন্ত কি করে কন্যা সন্তানকে শ্নেহ করিতে হয় তাহা শিখে নাই।
স্বামী গৃহে সুখ, হায় রে কপাল, সে রসের কথা বলি কাকে? স্বামী ভাবিয়া রাখেন এ যেন ইন্দ্রিয় বিশিষ্টা পষাণ প্রতিমা, মনে করেন ইহার প্রাণ প্রাণ নহে, প্রেমবিশিষ্ট চৈতন্য মাত্র। তিনি নেশা করিয়া ঘরে ফিরিবেন আর আমাদের তাহাকে সেবা করিতে হইবে, বাতাস দিতে হইবে,পদসেবা করিতে হইবে, হাসি মুখে কথা কহিতে হইবে, তাঁহার রশিকতায় হাসিতে হইবে, তাঁহার প্রেমালাপে গলিয়া যাইতে হইবে।
NOTE- ১৪ পৃষ্ঠার ‘নারীজন্ম’ শিরোনামের সম্পূর্ণ প্রবন্ধটি পাঠ করতে উপরের লিংক থেকে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করুন
নীচের লিংক থেকে আরও পড়ুন
Leave a Reply