Warning: Undefined array key "options" in /home/prabandh/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/theme-builder/widgets/site-logo.php on line 124 ধর্ষকাম বনাম মর্ষকাম - Prabandha Archive
Skip to content
ব্যথার প্রদীপ জ্বেলে রতিপূজা সমাপ্ত, এরেই বলি ধর্ষকাম। দয়িতজনকে ব্যথা যে দেয় সে ধর্ষকামী এবং প্রিয়জনের কাছ থেকে ব্যথা পেতে যার আনন্দ সে মর্ষকামী। রতিভুবনে এদুটি যথাক্রমে ধর্ষকাম ও মর্ষকাম রূপে বিদিত।
এই মাত্র উল্লেখ করা শব্দ দুটি প্রায়ই যুগলবন্দী-ধর্ষমর্ষকাম-রূপে ব্যবহৃত হয়। কেননা এটা অনেকদিন ধরেই জানা আছে, কোন একটি কার্যক্রমে যৌন- আগ্রহ যদি জাগ্রত হয়, ঠিক বিপরীত কার্যক্রমেও উদ্দীপ্ত হবে। যৌনরুচি বা যৌন আচরণের দিক থেকে, পুরুষ মুখ্যতঃ ধর্ষকামী এবং নারী মর্ষকামী। তথাপি এটাই সাধারণতঃ চোখে পড়বে যে এদুটি ধারণা একমুখী, অর্থাৎ একই ব্যক্তিতে লীন হয়ে আছে। যেমনটি ছিল সেই দুই আদি পুরুষে, যাঁদের নামে চিহ্নিত হয়েছে এই বিকৃতিদ্বয়।
মাকু ইস দে স্যাদে, জন্ম প্যারিসে, ২রা জুলাই ১৭৪০। মৃত্যু ২রা ডিসেম্বর, ১৮১৪। উচ্চবংশীয় অভিজাত এই ফরাসার মুখ্য অভিলাষ ছিল কর্তৃত্ব এবং বাধা দেওয়া, যার প্রতিফলন শুধু ব্যক্তিগত জীবনে নয়, রচিত গ্রন্থাবলীতেও। ‘তাই না এঁর নামেই নাম রাখা হয়েছে এই বিশেষ কামনার (স্যাডিজম)। অনুরূপভাবে মর্ষকাম (ম্যাসোসিজম) নামটি এসেছে প্রাচীন জার্মানবংশীয় ব্যারন, কেভালিয়র লিওপোল্ড ভন স্যাকার-ম্যাসো (১৮৩৬-১৮৯৫) থেকে।
ইনিও একজন ঔপন্যাসিক ছিলেন যাঁর রচনাবলীতে প্রথম বর্ণিত হয়েছে এই বিশেষ বিকৃতিটি। এর আনন্দ বশ্যতার কাছে আত্মসমর্পণে এবং নিগৃহীত হতে। তথাপি স্যাকার-ম্যাসোও নির্দয় হতেন এবং নিগৃহীত হতেন দে স্যাদেও। আবার অন্য বিকৃতির সঙ্গেও এদের পরিচয় ছিল, যেমন দে স্যাদের মুগ্ধচিত্ততা ছিল পায়ুকামে এবং স্যাকার-ম্যাসোর ফার-এ।
যৌনতার কষ্টিপাথরে ধর্ষকামিতার (কিংবা মর্ষকামিতা) রূপটি খাঁটি নয়, কিছু না কিছু মর্ষকামিতার (কিংবা ধর্ষকামিতার) খাদ মেশান আছে। নেতি নেতি বিচার করলে দেখব, এদুটি রূপ একই আদিম আবেগের বিকাশ, কখন পজিটিভ, কখন নেগেটিভ। সুতরাং ধর্ষমর্ষকাম বলাই সঙ্গত। নিটোল মুক্তার যত কেউ পুরোপুরি ধর্ষকামী নয়, মর্ষকামীও না। বস্তুতঃ উভয়ের মধ্যে বিভাজক রেখা টেনে দেওয়া সম্ভব নয়। একারণে শ্রেঙ্কনজিং, হ্যাভলক এলিস প্রমুখ কতিপয় পণ্ডিতের পছন্দ ব্যখনকাম (এ্যাঙ্গোল্যাগ নিয়া) শব্দ ব্যবহারে,
সম্পূর্ণ রচনাটি পাঠ করতে উপরের লিংক থেকে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করুন
Leave a Reply