Description
ধর্মর রুপ ও স্বরূপ
লেখক- অজ্ঞাত
সূত্র -১৯০২ সালে প্রকাশিত সাহিত্য বিষয়ক প্রবাসী পত্রিকা হতে সংগ্রহীত।
ধর্মের রূপের বৈচিত্রা দেখিবার জন্য আমাদিগকে দূরে যাইতে হইবে না। এই ভারতক্ষেত্রই ধর্ম্মের নানা রূপের সাধন-ক্ষেত্র। এখানে বর্ব্বরদিগের প্রেতপূজা হইতে সুসভ্যদিগের একেশ্বরবাদ পর্য্যন্ত ধর্ম্মের সকল রূপ ও সকল সাধন বিঘ্নমান রহিয়াছে। বাস্তবিক মানব-হৃদয়ে ধশুর ‘ভাবের অভ্যুদয় ও বিকাশের এবং মানবীয় সামাজিক রীতি- নীতির বিবর্তনের নিদর্শন ও পরীক্ষার দ্বিতীয় স্থান এরূপ আর নাই। অদ্যাপি এখানে পার্ব্বত্য জাতিসকলের মধ্যে প্রেতপূজা আছে; আবার সমতলস্থ জ্ঞানিগণের মধ্যে অত্যু- ন্নত একেশ্বরবাদও আছে। সুতরাং ধৰ্ম্মভাবের উৎপত্তি ও উন্নতির ক্রম যিনি জানিতে চান, তাঁহার পক্ষে ভারতীয় জাতি সকলের সামাজিক ইতিবৃত্তের আলোচনা অতীব প্রয়োজনীয়।
বৈদিক যাগযজ্ঞের অনুষ্ঠান ও উপনিষদের ব্রহ্মজ্ঞান, এই দুই সমান্তরাল ধারা চলিয়া আসিতে আসিতে এদেশে কিরূপে পৌত্তলিকতার আবির্ভাব হইল, তাহা এক জটিল প্রশ্ন। কেহ কেহ বলেন যে বৌদ্ধধর্ম্মের অভ্যুদয়ের পর বৌদ্ধধর্ম্মের দৃষ্টান্ত ও উপদেশের প্রভাবে ভারতীয়, চিন্তাতে পৌত্তলিকতার আবির্ভাব ও শ্রীবৃদ্ধি হইয়াছে। বৌদ্ধধর্ম্মের অভ্যুদয়ের পর ‘যে দেবদেবীর অর্চ্চনা প্রবল হইয়াছিল, তাহাতে সন্দেহ নাই। কিন্তু “ভারতবর্ষীয় উপাসক-সম্প্র- দায়ে”র গ্রন্থকার খ্যাতনামা অক্ষয়কুমার দত্ত মহাশয় অনুমান করেন যে শ্রীষ্টীয় শকের ষষ্ঠ শতাব্দী পূর্ব্বেও এদেশে শিব- পূজা প্রচলিত ছিল।
তাহা হইলে মহাত্মা বুদ্ধের জন্মের পূর্ব্বেও কোন কোনও প্রকার দেবদেবীর পূজা প্রবর্তিত হই- য়াছিল বলিতে হইবে। ভারতীয় পৌত্তলিকতার উৎপত্তি ও ক্রম নির্দেশ কর’ এ প্রবন্ধের উদ্দেশ্য নহে। কিন্তু সেই পৌত্তলিকতা এদেশে কিরূপ রূপ ধারণ করিয়াছিল, তাহাই সংক্ষেপে বর্ণন করা উদ্দ্যে। ভারতীয় পৌত্তলিকতা এই আর্যাবর্ত প্রদেশে প্রধানতঃ তিন সম্প্রদায়ে বিভক্ত হইয়া প্রকাশিত হইয়াছে-শৈব, বৈষ্ণব ও শাক্ত। দাক্ষিণাত্যে আর এক সম্প্রদায় সৃষ্ট হইয়াছে, তাহার নাম গাণপত্য।তাঁহারা গণপতির উপাসক। আর্য্যাবর্তেও পূর্ব্বোক্ত তিন প্রধান সম্প্রদায়ের মধ্যে শৈর্ব সম্প্রদায় সর্ব্বাপেক্ষা প্রাচীন। তৎপরে বৈষ্ণব ও সর্ব্বশেষে শাক্ত। শৈবগণের অধিকাংশ শঙ্করের পথাবলম্বী।
Note- ৬ পৃষ্ঠার প্রবন্ধটি পাঠ করতে উপরের লিকং হতে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করুণ
আরও পড়ুন-
Leave a Reply