সারাংশ:-জীবনের উদ্দেশ্য অনুসন্ধান করতে, জীবনের গতিপথ নিয়ন্ত্ৰণ করতে, জীবনের সুখ-শান্তি অন্বেষণ ও জীবনকে প্রশান্তিপূর্ণ করতে আর্ত, অর্থার্থী, ভক্ত, জিজ্ঞাসু-ত্রিতাপ জ্বালায় দগ্ধ দুর্বল সবল নির্বিশেষে মানুষ যেখানে আশ্রয় গ্রহণ করে তার নাম ধর্ম। ইন্দ্ৰীয় অনুভূতিশীল জীবন ধর্ম ধারণ করে না এমন মানুষ দুর্লভ। বস্তুত বাঁচাবাড়ার মর্মউপলব্ধির স্থিত জ্ঞানই হল ধর্মতত্ত্ব
ইন্দ্রিয় অনুভূতিশীল অধিকাংশ মানুষের মননে ধারণকৃত এই ধর্মবিশ্বাসও আবার মিশ্র এবং দ্বান্দ্বিক। এদের মধ্যে এক শ্রেণির বিশ্বাস পরকাল বলে কিছু নেই, তবে দুনিয়াতে ধর্মের দরকার আছে। কারণ, ন্যায়-অন্যায়ের বিচার বলে একটা ভীতি মানুষের মধ্যে কাজ না করলে সমাজজীবন অন্যায় অপরাধে ভরে যেত। মানুষের সমাজই মানুষের কাছে বাসযোগ্যতা হারাত। ব্যবসা, বাণিজ্য, লেনদেন, মানুষের কাছে বাসযোগ্যতা হারাত। মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক সবকিছুতে একটা চূড়ান্ত পতন ঘটত। মানব সমাজ একটা অরণ্যে রূপ নিত। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুন, রাহাজানি ইত্যাদিতে সামাজিকজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ত।
এখানে মন্দ কর্মের শাস্তি হিসেবে স্বর্গ-নরকের ভীতি মানুষের মধ্যে কাজ করে এবং কল্যাণ কর্মে উৎসাহ সৃষ্টি করে। এতে সামাজিক সুস্থতা বজায় থাকে, নৈতিক অবক্ষয় থেকে অনেকটা রক্ষা পাওয়া যায়। এছাড়া যিনি সৎ জীবন-যাপন করেন, মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন এই বিশ্বজগতের একজন মহান স্রষ্টা আছেন। তিনি আমাদের অভিভাবক, আমাদের সমগ্র জীবনের সৎকর্ম ও অসৎকর্মের হিসাব গ্রহণকারী।
একজন মানুষ তার কষ্টার্জিত অর্থ নিয়ে শান্তিতে জীবনযাপন করছে অপর একজন মানুষ তার কোন কষ্ট নেই, সাধনা নেই, হঠাৎ করে অস্ত্রের মুখে তা লুট করে নিয়ে মহা আনন্দে দিনাতিপাত করছে। মনে একটু দ্বন্দ্বও নেই, দ্বিধাও নেই। অথচ আর একজন মানুষ কাউকে একটা কটু কথা বলে রাতে অশান্তিতে ঘুমাতে পারছে না।
Note- ৪৪ পৃষ্ঠার ধর্মতত্ত্ব: উদ্ভব ও বিকাশ শিরোনামের সমপূর্ণ প্রবন্ধটি পাঠ করতে উপরের লিংক হতে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করুণ।
Leave a Reply