Description
ত্রিত্ববাদ
মহেশচন্দ্র ঘোষ
সূত্র-১৯২৬ সালে প্রকাশিত শিক্ষা,সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক ‘প্রবাসী’ পত্রিকা থেকে সংগ্রহীত।
পিতা, পুত্র ও পবিত্রাত্মা এই তিন লইয়া ত্রিত্ববাদ। তিন জন মৌলিক পুরুষ।মৌলিক পুরুষ যখন তিন জন, তখন ইহাদের চৈতন্যের কেন্দ্রও তিনটি। পুরুষ তিন জন, কেন্দ্র তিনটি অথচ খৃষ্টানগণ বলেন, এ তিনটি একই।ইহা অর্থশূন্য ও যুক্তিশুন্য সিদ্বান্ত।
তিন যদি এক হইতে পারে, তবে ভারতের বহু এক হইতে পারিবে না কেন ? হিন্দু আচার্য্যগণ কি চির কাল এই একই কথা বলিয়া আসিতেছেন না ? বৈদিক যুগেও কি বহুকে এক বলা হয় নাই ? হিন্দুগন কি বলিতে পারিবে না, ‘আবার বলি. কেহ যেন স্বপ্নেও ভাবেন না যে হিন্দুরা প্রকৃত প্রস্তাবে বহু ঈশ্বরের অর্চনা করে ?
খৃষ্ট ধর্ম প্রত্যক্ষভাবে ইহুদি ধর্মজাত। ইহুদি ধর্ম যে কিরূপ উৎকট একেশ্বরবাদী তাহা শিক্ষিত ব্যক্তি মাত্রই অবগত আছেন। এখন প্রশ্ন এই যে, খৃষ্ট ধর্ম কি তাহার মূল হইতে একটা স্বত্রন্ত্র বা বিকৃত হইয়া পড়িয়াছে যে, ঈশ্বর একাদিক এই রূপ বাতুলোচিত উক্তি এই ধর্মে স্বীকৃত হয়?
আমাদের বক্তব্য এই: বাস্তব শিষ্যগণ যতদিন ইহুদি সম্প্রদায়ভুক্ত ছিল ততদিন খৃষ্টান সম্প্রদায় একেশ্বরবাদী ছিল। কিন্তু যখন হইতে খৃষ্টানগণ ইহুদি সমাজ হইতে পৃথক হইতে আরম্ভ হইল এবং গ্রিক সভ্যতার সংস্পর্শে আসিতে লাগিল তখন হইতে ইহারা একেশ্বরবাদ হারাইতে লাগিল। অপরদিকে যতই একেশ্বরবাদ হইতে খৃষ্টানগণ দুরে গমন করিতে লাগিল ততই ইহুদি সমাজ ইহা দিগকে বর্জন করিল। তিন ইশ্বর মতের জন্য ইহুদিগণ আর খৃষ্টান ধর্ম গ্রহন করে নাই।
খৃষ্টীয় ত্রিত্ববাদের প্রধান উদ্দেশ্য যীশু খৃষ্টের ইশ্বরত্ব স্থাপন। আমাদের এক কবি বলিয়াছেন –
মেরীর তনয় যদি জগদীশ হয়.
ঘোষের তনয় তবে দোষের ত নয়।
যীশুকে যদি ঈশ্বর বলা হয় তাহলে চৈতন্য ও রামকৃষ্ণকে ইশ্বর বলিবার যথেষ্ঠ কারন রহিয়াছে। আর খৃষ্টান সম্মত যুক্তি দ্বারা জগতের প্রত্যেক মানবেরই ইশ্বরত্ব স্থাপন করা যায়।
NOTE- তিন পৃষ্ঠার ‘ত্রিত্ববাদ‘ শিরোনামের দর্শন বিষয়ক প্রবন্ধটি পাঠ করতে উপরের লিংক থেকে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করুন।
নীচের লিংক থেকে আরও পড়ুন
দর্শন বিষয়ক প্রবন্ধ
Mitochondrial membrane dynamics buy priligy cheap