Description
জন্ম-শাসন ও যৌনকর্ম
ডা. মদন রাণা
প্রকাশ– ১৩৪৯ বঙ্গাব্দ
একশ্রেণীর লোক আছে যাহারা জীবনে কখনও সৎপরামর্শ দেয় না, সময় বুঝিয়া তাহারাই উপদেশ দিতে আসেন যে, জন্ম-নিয়ন্ত্রণের পন্থা গ্রহণ করা পাপ, তাহার দ্বারা শরীর নষ্ট হয় ইত্যাদি নানাকথার সৃষ্টি করিয়া থাকেন। কিন্তু তলাইয়া দেখিতে গেলে তাহাদের কথায় যে সত্যতা বা যুক্তি নাই, তাহা প্রত্যেক চিন্তাশীল ব্যক্তিমাত্রেই বুঝিতে পারিবেন।
যে সমস্ত লোক এ কথা বলিতে আসেন, তাহাদের মধ্যে এক হয় ভ্রান্ত আর না হয় তাহারা ভণ্ড।
আবার কুমতলবের বশবর্তী হইয়া যাহারা ইহাকে সমর্থন করিতে আসেন, তাহাদেরও ক্ষমা করা যায় না। জন্ম-শাসনের প্রকৃত প্রয়োজনীয়তা কোথায় তাহাই আমাদের দেখিতে হইবে।
আজ দেশের এই দুদ্দিনে খাদ্যাভাবে, বস্ত্রাভাবে, অর্থাভাবে লোক যখন হাহাকার করিয়া মরিতেছে, সেই সময় অধিক সন্তান জন্ম দিয়া, দেশের মেরুদণ্ডকে আরও বলহীন, অসার ও দুর্ব্বল করা কোনমতেই যুক্তিসঙ্গত নহে। যৌন-বিজ্ঞান সম্বন্ধে শিক্ষার অভাব, অতিরিক্ত যৌনপ্রবণতা এবং যৌনক্ষুধা মিটাইবার স্বচ্ছন্দ অবকাশ না পাওয়াতে যে নর-নারীর জীবন, যৌবন ও স্বাস্থ্য চিরতরে নষ্ট হইয়া যায়, আজ একথা বিশেষভাবে প্রচার করিবার সময় আসিয়াছে;
আর সেইসঙ্গে সমাজের কতকগুলি প্রাচীন ব্যবস্থারও পরিবর্তন করা আশু প্রয়োজন এবং তার জন্য সমাজের প্রত্যেক হিতকামী ব্যক্তিকেই সাহস সঞ্চয় করিতে হইবে।
এদেশের মেয়েরা যৌবন, লাবণ্য ও স্বাস্থ্যকে কি করিয়া নিটোল ও স্থায়ী রাখিতে হয়, কি করিয়া গর্ভ হয়, প্রসূতিকে কি কি নিয়ম পালন করা উচিত, এবিষয়ে প্রকৃত কোন জ্ঞানই লাভ করে না। সেই কারণেই আজ দেশে অসংখ্য চিররুগ্ন, দুর্ব্বল ও বিকলাঙ্গ শিশু জন্মগ্রহণ করিয়া থাকে। তাই ভারতে ৪ মিনিট অন্তর ১টা করিয়া মৃতশিশু প্রসূত হয়। ঐ সকল কারণ ব্যতীতও দেখা যায়, আমাদের মেয়েদিগকে সংসার সম্বন্ধে অতি প্রয়োজনীয় শিক্ষাও কোন স্কুল-কলেজে দেওয়া হয় না।
৯ পৃষ্টার প্রবন্ধটি পাঠ করতে উপরের লিংক থেকে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করুন
আরও পড়ুন
জন্ম-শাসন ও যৌনকর্ম
Leave a Reply