Description
গোষ্ঠী-বিবাহ
বিমানবিহারী মজুমদার
উৎস- পরিচয় পতিকা, কার্তিক-১৩৪১ বঙ্গাব্দ।
সারাংশ:- গোষ্ঠী.গোত্র.পরিবার কোথা হইতে কি রূপে উদ্ভুত হইল এই তথ্য জানিবার জন্য মানবের কৌতুহল নতুন নহে। মানব মনের এই স্বাভাবিক কৌতুহল নিবৃত্তি করিবার জন্য প্রাচীন ধর্ম শাস্ত্রকারগণ বলিয়াছেন যে ভগবান প্রথমে একটি দম্পতি সৃষ্টি করেন; তাদের সন্তান সন্ততি হইতে মানব সমাজের উৎপত্তি হইয়াছে। সেই দম্পতির নাম কোথাও কাশ্যপ অদিতি কোথাও আদম আর ইভ —
এক দম্পতির সন্তান হইতে কালক্রমে লক্ষ লোকের জন্ম হওয়া অসম্ভব নয় বলিয়াই শাস্ত্রে এই রূপ সমাজ সৃষ্টির ব্যাখ্যা দেওয়া হইয়াছে। এই ব্যাখ্যায় আরো বলা হয় সৃষ্টির প্রথম হইতেই নরনারী একনিষ্ঠ প্রেমে আবদ্ব হইয়া স্বতন্ত্র সংসার পাতিয়াছে। স্বামী – স্ত্রী পুত্র কন্যা লইয়া এক একটি পরিবার গঠন হইয়াছে।–
আদিম মানব যে অবস্থা হইতে ক্রমবিকাশলাভ করিয়া ক্রমশঃ সমাজ বন্ধনে আবদ্ধ হইয়াছে, সেই অবস্থার কথা কল্পনা করিলে প্রতীতি জন্মে যে, গোষ্ঠীগত জীবন যাপন করা ছাড়া তাহার জন্য অন্য কোন উপায় ছিল না।–
দাম্পত্য সম্বন্ধ হইতে মানব সমজের ক্রমবিকাশ দেখাইবার যারা পক্ষপাতি তাহারা বলেন যে, মানবের নিকটতম জ্ঞাতি শিপ্পাঞ্জি, গড়িলা, ওরংওটাং প্রভৃতি জন্তুরা গোষ্ঠীগত জীবন যাপন করে না, পরিবারবদ্ধ হইয়া বসবাস করে। সুতরাং মানুষ প্রথম হইতেই পারিবারিক জীবন আরম্ভ করে। গোষ্ঠীর মধে থাকিয়া অবাধ যৌন মিলনে রত হইবার দুস্প্রবৃত্তি তাহার কোন দিনই দেখা যায় নাই-।–
আদিম অবস্থায় মানুষ পশুদেরই একজন। চরিদিকে ভিষণ অরণ্য, অরণ্যের মধ্যে ক্ষুদ্র,বৃহৎ অতিকায় জন্তু চারিদিকে ঘোরাফেরা করিতেছে। মানুষকে তাহাদের আক্রমণ হইতে আত্মরক্ষা করিয়া আহার সংগ্রহ করিতে হয়। মানুষের শরীরে বস্ত্র নাই, হাতে অস্ত্র নাই, দন্ত নখরই তাহার একমাত্র সম্ভল, আগুনের ব্যবহার তখনো সে শিখে নাই।—
NOTE- ১৪ পৃষ্ঠার ‘গোষ্ঠী-বিবাহ’ শিরোনামের সম্পূর্ণ প্রবন্ধট পাঠ করতে উপরের লিংক থেকে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করুন
Leave a Reply