Description
গর্ভপাত ও সমাধান
গর্ভপাত: সমাধান কোন পথে?
ডা. মদন রাণা
প্রকাশ– ১৩৬৩ বঙ্গাব্দ
একদা সন্তান ছিল বিধাতার আশীর্বাদ, যেন ঈশ্বর প্রেরিত। কিন্তু সেই অযোধ্যা নেই, সেই রামও নেই। সন্তান আজ কিনা দুঃসহ ভার বিশেষ, নির্ভার হওয়ার একটি উপায় গর্ভপাত (অধিক বিলম্বে শিশুহত্যা)।
শতকরা দশটি গর্ত যেমন করে অকালে আপনাআপনি ঝরে যায়, তেমনি করে এগর্ভপাত স্বতঃস্ফূর্ত নয়, স্বেচ্ছাকৃত।
ঋতুবন্ধের পর ২৮ সপ্তাহ মধ্যে একটা কিছু প্রয়োগ করার পর যে গর্ভপাত ঘটে তারই কথা বলছি। এটা আবার দু রকমের, বৈধ আর অবৈধ। শুধুমাত্র গর্ভিণীর প্রাণরক্ষার্থে (ভারতীয় পেনাস কোড ৩১২ নং ধারা দ্রষ্টব্য) এটা বৈ। (থেরাপ্যুটিক), বাদবাকী আর সবই অবৈধ (ক্রিমিনাল)। প্রথমটি আইনের স্বীকৃতিধন্য, ডাক্তারেরা তাই এগিয়ে আসে, ফলে মৃত্যুহার খুবই কম এবং ব্যাধিগ্রস্ততা প্রায় শূন্ঠ। দ্বিতীয়টি আইনতঃ দণ্ডনীয়, সুতরাং লুকিয়ে চুরিয়ে অসুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিত, যার ফলে মৃত্যুহার অনেক বেশী, আরও ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মারাত্মক ব্যাধিগ্রস্ততা এবং গুরুতর কুফল।
নিখিল নীল বিশ্বে কত শত কোটি গর্ভ যে অন্ধকারে পাত হয়, কেউ তা জানে না। আলোয় যেটা আসে সেটা ভগ্নাংশমাত্র। মোটামুটিভাবে বলা যেতে পারে সমগ্র গর্ভের এক পঞ্চমাংশ থেকে এক চতুর্থাংশ নষ্ট করা হয়। এবং শান্তিলাল শাহ কমিটি-র রিপোর্টে (১৯৬৭) জানা গেছে, মহীশূরে প্রতি হাজার গর্ভে ৭৯টি এবং বাংলাদেশে প্রতি হাজারে ৪৫টি গর্ভ অবৈধভাবে নষ্ট হয়। হাসপাতালে ডাক্তার দেখে কিছু বিপন্না রমণীকে, পুলিশ ও করোনাব দেখে কিছু মৃত্যুকে, বিপুলসংখ্যক গর্ভঘাতিনী কিন্তু অজ্ঞাতকুলশীল থেকে যায়। বিগত পঞ্চাশ বছরে এসংখ্যা বিপুলভাবে স্ফীত হয়েছে এবং এবিপুলতার অর্থ সমাজের প্রতিটি স্তরেই খুঁজে পাব গর্ভপাতকে।
মনে হতে পারে এটা বুঝি আধুনিক সভ্যতার অবদান, একটা নতুন সমস্তা বুঝি ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছে। ব্যাপারটা মোটেই তা নয়। কারণ, মনের মাধুরী মিশিয়ে একটি মানুষ আর একটি মানুষীকে নিয়ে যেদিন ঘর বেঁধেছে সেদিন থেকেই এর দেখা পাব।
২০ পৃষ্টার প্রবন্ধটি পাঠ করতে উপরের লিংক থেকে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করুন
আরও পড়ুন
গর্ভপাত ও সমাধান
Leave a Reply