Description
গণিকাবৃত্তির অধিকারের লড়াই
অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রবন্ধের সারাংশ:- দুর্বার মহিলা সমন্বয় সমিতি পশ্চিমবঙ্গের পয়ষট্টি হাজার যৌনকর্মীর সমষ্টিগত দল। ১৯৯২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি কলকাতার সবচেয়ে বড়ো নিষিদ্ধ পল্লি সোনাগাছিতে প্রতিষ্ঠিত দুর্বার, ভারতের লক্ষ লক্ষ যৌনকর্মীর সঙ্গে নারী অধিকার, যৌনকর্মীদের অধিকার সমর্থন, মানব পাচার বিরোধী এবং প্রতিরোধ নিয়ে কাজ করছে।
আরও পড়ুন- দেবীর আবির্ভাব
গণিকা বৃত্তিকে বৈধ পেশা এবং যৌনকর্মীদের কর্মী হিসাবে স্বীকৃতির লড়াইয়ের জন্য এবং যৌনকর্মীদের তথা তাঁদের সন্তানদের জন্য নিরাপদ সামাজিক অস্তিত্বের জন্য দলটির লক্ষ্য মাত্রায় স্পষ্টত রাজনৈতিক। তাঁরা গণিকা বৃত্তি বৈধকরণের জন্য কাজ করে এবং আইন সংস্কারের চেষ্টা করে, যা যৌন মানবাধিকারকে সীমাবদ্ধ করে।
একটি গবেষণায় যৌন কর্মীদের মধ্যে যৌন বিষয়ক অধিকার, তাঁদের সন্তানদের শিক্ষা, আর্থিক পরিসেবা গুলির সুবিধা এবং পুলিশ এবং স্থানীয় গুণ্ডাদের দ্বারা হয়রানির শিকার হওয়ার সমস্যা গুলি উঠে আসে, সঙ্গে নিরাপদ যৌন সঙ্গমের স্বার্থে কন্ডোম ব্যবহারের প্রসার ঘটানো হয়।
আরও পড়ুন–যৌনকর্মীরা কি বাধ্য হয়েই যৌনপেশায়?
গণিকা পেশায় আসতে ইচ্ছুক এমন কোনো মেয়েই এই বোর্ডকে এড়িয়ে তাঁর পেশা শুরু করতে পারবে না। এই বোর্ডেই যাচাই করা হয় বয়স- নাবালিকা কি না। সেক্ষেত্রে ১৮ উপরে বয়স হতে হব। বয়সের প্রমাণ পত্র না থাকলে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে বয়স জেনে নেওয়া হয়, এই পেশায় আসতে কেউ বাধ্য করেছে কি না জানতে চাওয়া হয়, পাচারকৃত কি না জানা হয় ইত্যাদি।
বছরের পর বছর শ্রমিকের মর্যাদা চাই- বলে দাবি করে আসছেন। মর্যাদা পাননি বলে কিন্তু যৌনকর্মীরা ঘরে বসে নেই। লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে শুধু দাবি বা পদযাত্রা নয়, শ্রম দিবসে তাঁরা কাজও বন্ধ রাখেন। সারা বিশ্বে অন্যান্য কর্মক্ষেত্রে যখন স্বাভাবিক ছুটি যাপন করেন কর্মীরা, তখন যৌনকর্মীরা শ্রমিকের মর্যাদার দাবিতে কাজ বন্ধ রাখেন।
জীবিকার জন্য তাঁদের অনেক খদ্দেরকে যৌনতৃপ্তি দিতে হয় এবং বেশিরভাগ খদ্দের কণ্ডোম ব্যবহার করতে চান না। কিন্তু সময় বদলেছে। এখন আর কেউ কন্ডোম ছাড়া যৌনকর্ম করতে পারবে না। ফলে যৌনরোগের প্রাদূর্ভাব অনেকটই কমেছে—-
NOTE- ১৩ পৃষ্ঠার ‘গণিকাবৃত্তির অধিকারের লড়াই’ শিরোনামের সম্পূর্ণ —পাঠ করতে উপরের লিংক থেকে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করুন।
Leave a Reply