Warning: Undefined array key "options" in /home/prabandh/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/theme-builder/widgets/site-logo.php on line 124 কামিনী ও মৃম্ময়ী- দুই - Prabandha Archive
Skip to content
হরের মা বৈকালিক কৰ্ম্ম কাজ করিয়া চলিয়া গেলে গৃহিণী ও মৃণ্ময়ী রন্ধনাদি সমাপ্ত করিয়া মাঝের ঘরে আসিয়া রাজেন্দ্রের প্রত্যাগমনের প্রতীক্ষা করিতে লাগিলেন। মৃণ্ময়ী একটী সাজী হইতে গৃহিণীকে শিল্প কার্য্য অর্থাৎ মোজা লইয়া প্রদান করিয়া ও নিজেরও কার্য্য লইয়া মাতার নিকট আসিয়া শিল্পকার্য্য করিতে লাগিল। কামিনী বৈকাল হইতে ঘরের বাহির হয় নাই। অল্পক্ষণ পরে রাজেন্দ্র কনিষ্ঠ ভ্রাতাকে লইয়া বাটী ফিরিয়া আসিল, নগেন্দ্র আল্লায় উড়নি রাখিয়াই মাতার কোলে ঝাঁপিয়া পড়িল। মৃণ্ময়ী শিল্প কার্য্য রাখিয়া দিয়া দুই ভ্রাতার চটি জুতা, গামছা ও এক ঘটি জল লইয়া বাহিরে রকে
রাখিয়া দিয়া রন্ধনগৃহে আহারের আয়োজন করিতে গেল। সকল প্রস্তুত করিয়া মৃণ্ময়ী অগ্রে মাতা ও ভ্রাতাকে ডাকিয়া, পরে কামিনীকে ডাকিতে গেল। এ বাটীর নিয়ম ছিল, দিবাভাগে স্ত্রী ও পুরুষ স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র আহার করিত, কিন্তু রাত্রে পরিবারস্থ সকলে একত্র বসিয়া আহার করিত; কেবল যখন বাটীতে কোন অতিথি আসিত, তখন, পুরুষ মাত্রেরই আহারীয় বাহিরের ঘরে প্রেরিত হইত।
মৃণ্ময়ী কামিনীর কক্ষদ্বারে দাঁড়াইয়া ডাকিল, কোন উত্তর না পাইয়া, কক্ষমধ্যে প্রবেশ করিয়া দেখে, কামিনী শয়ন করিয়া আছে। নিকটে গিয়া দেখে, কামিনী জাগরিত। মৃণ্ময়ী বলিল, “বৌ, ভাত বাড়া হইয়াছে, এস; মা ও দাদা তোমার অপেক্ষা করিতেছেন।”
কামিনী। আমি পা ধুইয়া বসিয়া আছি, এখন রান্না ঘরে গেলে পায়ে কাদা লাগিবে।
কথা শুনিয়া মৃণ্ময়ীর হাসি পাইল। ভাবিল, পা অপরিষ্কার হইলে কি আর পরিষ্কার করিবার উপায় নাই? ঘরে কি জল নাই?: কিন্তু ভ্রাতৃভার্য্যার ভয়ে হাস্য সংবরণ করিয়া, ও মনের কথা মনে রাখিয়া বলিল, চটি পায়ে দিয়া এস।”
Leave a Reply