Warning: Undefined array key "options" in /home/prabandh/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/theme-builder/widgets/site-logo.php on line 124 কামিনী ও মৃম্ময়ী- ছয় - Prabandha Archive
Skip to content
“গুণবতী ভাৰ্য্যা কে পাইয়াছে? মুক্তা অপেক্ষাও তাহার মূল্য অধিক।”
রোদন করিয়া মৃণ্ময়ী অনেক সান্ত্বনা পাইল, পরে ভাবিতে লাগিল, এইরূপ রোদন করিয়া স্বামীর মনে কষ্ট দাওয়া উচিত নয়। হয় তো তিনি ভাবিবেন, এই প্রথম দিবসেই যখন এইরূপ হইল, তবে সমস্ত জীবন একত্র কি রূপে ঘর করিবে? তিনি মনঃক্ষুণ্ণ হইতে পারেন। বাস্তবিক বিজয়ও এই চিন্তা করিতেছিল। এই সকল কথা মনে উদয় হইলে-মৃণ্ময়ী হঠাৎ রোদন সম্বরণ করিয়া, চক্ষের জল অঞ্চল দিয়া মোচন করিয়া, মৃদু হাসি হাসিয়া, স্বামীর প্রতি দৃষ্টি করিয়া বলিল, “আমার মনের কষ্ট দূর হইয়া গিয়াছে-আমি আর কাঁদিব না।”
মৃণ্ময়ীর কথা শুনিয়া বিজয়ের বিষণ্ণতা কিঞ্চিৎ দূর হইল। বিজয় জিজ্ঞাসা করিল, “মা কি বলিতেছিলেন?”
পিত্রালয় হইতে আসিবার সময়ে গৃহিণী মৃণ্ময়ীকে যে সকল শিক্ষা দেন, তাহার মধ্যে সর্ব্ব প্রধান এই, “কখনই শাশুড়ীর বিপক্ষে স্বামীর কাছে কিছু বলিবে না, বরং নম্রতা ও সহিষ্ণুতার সহিত তাঁহার সমস্ত কথা সহ্য করিলে ভাল হইবে। কারণ যিনি প্রতিজ্ঞা করিয়াছেন যে, নম্রান্তঃকরণ ব্যক্তিরা পৃথিবী অধিকার করিবে, তিনি কখনই মিথ্যা কহেন না।” বিজয়ের প্রশ্ন শুনিয়া মাতার এই উপদেশ মৃণ্ময়ীর স্মরণ হইল। নিজ দুর্ব্বলতা প্রকাশ হওয়াতে দুঃখিতা ও অধিকতর লজ্জিতা হইয়া বলিল,
“মায়ের কথা শুনিয়াই যে আমি কাঁদিয়াছি, ফলে তা নয়-কিন্তু আমার ধৈর্য্য অল্প, তাহাতেই কাঁদিয়াছিলাম।”
বিজয় আবার জিজ্ঞাসা করিল,
“মৃণ্ময়ি, এই প্রথম দিবসেই ভগ্নাশ হইয়া পড়িলে?”
মৃ। না; তাহা নয়। যতক্ষণ উর্দ্ধে যীশুর শক্তি ও পৃথিবীতে তোমার ভালবাসা আছে, ততক্ষণ হতাশ হইবার কোনই কারণ দেখি- তেছি না; তবে যে কাঁদিয়াছি, সে কেবল দুর্ব্বলতা মাত্র। আমাকে ক্ষমা কর, প্রভুর কৃপায় আর এ প্রকার দুর্ব্বলতা কখনই দেখিতে পাইবে না।”
Leave a Reply