Description
কামিনী ও মৃম্ময়ী- আট
THE TWO HOMES
BY
A BENGALI LADY
তুমি নিতান্ত মূর্খের কাজ করিতেছ। একত্র থাকিতে স্থির করিতেছ, আবার নানা ছলে ভূতীর মাকে তাড়াইবার চেষ্টা করিতেছ। তোমাকে কতবার বলিয়াছি, যদি একা থাকিতে তোমার কষ্ট হয়, তবে আমার কাছে আইস। তোমার স্বামী তোমাকে পরিত্যাগ করিলে আমি কখনই পরিত্যাগ করিব না। আমি যাবজ্জীবনের জন্য তোমার ভার গ্রহণ করিব।’ আমার কথায় কি তোমার বিশ্বাস হয় না?
তোমার সঙ্গে আমার একটা বড় গোপনীয় কথা আছে, আজি সন্ধ্যার সময়ে আমি যাইব; আমি তোমাদের বাটীতে যাইব না. কিন্তু যে খানে থাকিব, তাহা ভূতীর মা জানে। উহার সঙ্গে আসিও। দেখিও, বাটীর কেহ যেন জানিতে না পারে।” রাজেন্দ্র ব্যাকুল হইয়া গৃহিণীর সহিত পরামর্শ করিবার আশায় গৃহ হইতে বাহির হইল, দৈবক্রমে পথিমধ্যে আর দুই জন প্রচারকের সহিত সাক্ষাৎ হইল।
ইহাদের সহিত কোন দূর গ্রামে প্রচার করিতে যাইবার কথা ছিল, রাজেন্দ্র তাহা ভুলিয়া গিয়াছিল। বাজেন্দ্র অকূল চিন্তায় মগ্ন হইল, অগস্ত্যা প্রচারক দুই জনকে নিজ বাটীতে ডাকিয়া লইয়া গেল এবং “আপনারা বসুন, আমি প্রস্তুত হইতেছি,” বলিয়া নিজ কক্ষে প্রবেশ করিয়া দ্বার রুদ্ধ করিয়া স্বর্গীয় পিতার নিকটে সকল দুঃখ জানাইল। প্রার্থনা করিয়া রাজেন্দ্র অপেক্ষাকৃত শান্ত হইয়া প্রচারকদের সহিত যাইতে প্রস্তুত হইল।
বাটী হইতে বাহির হইবার পূর্ব্বে কামিনীকে বলিল, “কামিনি, আমার আসিতে রাত্রি হইবে, যতক্ষণ না আসি, তুমি বাটী হইতে বাহির হইও না।” এ কথা শুনিয়া কামিনী ভয়ে চকিতের ন্যায় স্বামীর মুখের প্রতি চাহিয়া রহিল। সেই ভাব দেখিয়া রাজেন্দ্র বাটী হইতে বাহির হইয়া গেল। রাজেন্দ্র অধৈর্য্য প্রায় হইয়া পথ চলিতে লাগিল, হঠাৎ প্রভুর এই অঙ্গীকার স্মরণ হইল, “তুমি আমার নিকটে আইস; আমি তোমাকে শান্তি দান করিব।” রাজেন্দ্র সেই অঙ্গীকার সাগরনিমগ্ন তৃণাবলম্বি ব্যক্তির ন্যায় দৃঢ়- রূপে হৃদয়ে ধারণ করিয়া, কিছু বল পাইল।
Note- ৮ পৃষ্ঠার গল্পটি পাঠ করতে উপরের লিকং হতে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করুণ
আরও পড়ুন
Leave a Reply