Description
ও-পারের মেয়ে
বারীন্দ্রকুমার ঘোষ
১৩৩০ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত
ছেলে বেলা থেকে আমি ঐ বকম। যেখানে বসে গডতাম সেইখানে আমাব সারা দুপুৰটি কেটে সন্ধ। হযে আসতো, মাথাব সূয্যি গাছের গোডায় রাঙা চোখে ঢলে পড়তো, তবু আমার সাড ভাঙতো না। মা বলতেন, বাবা পড়ার জন্য মেরে মেরে হাড কালি করতেন, স্কুলে যমদূতেব দোসর মাষ্টারের দল আমায সোজা করবাব আশায় কোন শাস্তিই বাকি বাখে নি। ঘবে ভয, বাইরে ভয, তাড়না লাঞ্ছনার অববি নেই। তবু কি আমার এ রোগ গেল?
তোমরা সংসার কর, গণ্ডগোল কর, ছুটে। ছুটি হাসি কান্নায কতই না সুখ পাও। আমিও তা কিছু কিছু পাই, আমিও তো রক্ত মাংসের মানুষ; আমারও তো মন-পাখী ডানা মেলে সুখের সন্ধানে উড়ে যায়, ভাব-সুমুদ্দুর হৃদয়-আকাশে আশার ভানু।
দেখে ফুলে ফেঁপে উথলে ওঠে, প্রাণ-যমুনা আকুল টানে উজান বয। কিন্তু তোমাদের মত অমার একটা জগৎ নিয়েই তো কারবার নয়। একটা নিয়ে তোমরা উদ্ব্যস্ত, আমার যে কতগুলো?
তবে শোন। শুনলে তোমরা বলবে, এ আমার কল্পনা, এ আমার পাগল-খেয়ালের দিবা স্বপ্ন। কিন্তু সজ্ঞানে জাগা-চোখে দিনের পর দিন যা দেখি, আমার অন্তব, সোপান দিয়ে নেমে এসে নিবিড় অন্তরঙ্গতায যাবা এমন করে আমার আপন যে মিথ্যে তা’ বলি কি করে? তোমার হয় তারা মাযের আদব কি মিথ্যে? তোমার বিয়ের দিনের সানাই রসনচৌকী বোক লস্কর কি মিথেন? আমার খোকার মবা মুখ, তাই বুকে করে আমার আপিস করা, কি মিথ্যে? তোমার কোলজোড়। মাণিক, তাব আধ আধ বুলি, সে কি মিথে।?
Note- আট পৃষ্ঠার গল্পটি পাঠ করতে উপরের লিকং হতে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করুণ
আরও পড়ুন
Leave a Reply