Description
ওমর খৈয়ামের ধর্মমত
চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রকাশ ১৩১৪ বঙ্গাব্দ
পারস্যে বহু মহাকবির মধ্যে ওমার খায়াম একজন শ্রেষ্ঠ কবি। তিনি শুধু কবি নহেন, তিনি পণ্ডিত কবি, তিনি জ্যোতিষ কবি। তিনি নয়সাপুরের অধিবাসী ছিলেন। তাঁহার ধর্মমত সম্বন্ধে নানা জনে নানা মত প্রকাশ করিয়া ছেন-কেহ তাঁহাকে নাস্তিক, কেহ বা অজ্ঞেয়বাদী, কেহ বা সংশয়বাদী, কেহ বা অদৃষ্টবাদী, কেহ বা বহুদেববারী’ এবং কেহ বা একেশ্বরবাদী বলিয়া স্থির করিয়াছেন। ইহার কোনটাই মিথ্যা নহে, এবং কোন মতটাই সত্য নহে
‘স্বাধীন চিন্তা সর্ব্বকালে, সর্ব্বদেশে প্রকাশ পাইয়াছে-যে বীর সেই চিন্তা-স্রোতে আপনার চতুষ্পার্শ্বের নরুনারীকে মুগ্ধ লুব্ধ করিয়া একটানা ভাসাইয়া লইতে পারিয়াছেন, তাঁহারা জগতে এক এক নূতন ধৰ্ম্মমত স্থাপন করিয়া, আপনার চিত্তেব প্রসারতার সাক্ষ্য রাখিয়া গিাছেন। যিহুদিধর্ম্মেব বিরুদ্ধে খ্রীষ্টধৰ্ম্ম, এবং শ্রীষ্টধৰ্ম্মকেই কত প্রকারে পরিমার্জিত করিয়া লুথার প্রভৃতি অভ্যুত্থান করিয়াছিলেন।
বেদবিহিত ব্রাহ্মণ্যধর্ম্মের বিরুদ্ধে বুদ্ধদেব এবং পুরাণ-তন্ত্রের প্রভাবের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান করিয়া চৈতন্যদেব, নানক, কবির, তুকা অমর হইয়া রহিয়াছেন। আর যে সকল পুরুষ স্বাধীন চিন্তা দ্বারা বলিষ্ঠ লোকাচারকে পরাভূত করিতে না পারিয়া-ছেন, তাঁহারা অধার্মিক বলিয়া সমাজে নিগ্রহভাজন হইয়া-ছেন। কিন্তু সেই অধার্মিক ও মহাধার্মিকের মধ্যে পার্থক্য বড় অল্পই শুধু একটু বেগ, একটু আকর্ষণীর অভাবে তাঁহারা আপন মতের সাড়া সমাজের নিকট হইতে পাইতে বঞ্চিত থাকিয়া যান।
ওমার খায়াম এই শেষোক্ত শ্রেণীর মহাপুরুষ। তিনি সমাজের চিরানুগত প্রথা, ধৰ্ম্মমত ও ক্রিয়ানুষ্ঠান প্রভৃতিতে নিরাপত্তিতে ‘ডিটো’ দিতে পাবিতেন না এবং সেই স্বাধীন চিন্তাটুকু প্রকাশ করিয়া বলিবার যত সাহস ও শক্তি তাঁহাতে, ছিল। এই মনীষীর চিন্তাপ্রণালী অভিব্যক্ত হইরা যখন যে, অবস্থায় প্রকাশ হইয়াছে, শুধু তৎকালের রচনা পাঠ করিলে তাঁহাকে ভুল বুঝা অসম্ভব নহে। ওমার খায়ামের রান্না-তাঁহার সুমধুর চতুষ্পদী শ্লোক পাঠ করিলে, তাঁহার ধর্ম্ম-মতের একটি চমৎকাব অভিব্যক্তি জানিতে পাবা যায়। তাঁহার শ্লোকাবলীব পৌর্ব্বাপর্য্য স্থির করা দুরূহ ব্যাপার, কিন্তু আমরা তাঁহাকে ক্রম-উন্নত স্থিব করিয়া তাঁহার ধর্ম-মতের বিবর্তন স্থির করিব।
NOTE- ওমর খৈয়ামের ধর্মমত ৫ পৃষ্ঠার সম্পূর্ণ প্রবন্ধটি পাঠ করতে উপরের লিংক থেকে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করুণ।
আরও পড়ুন
Leave a Reply