Description
‘ই-ব্রা-হি-ম’ সাহিত্য
গিরিজাশঙ্কর রায় চৌধুরী
সূত্র- লেখকের-১৯২২ সালে প্রকাশিত ‘বাঙ্গলার রূপ’ গ্রন্থ থেকে সংগ্রহীত
প্রবন্ধের সার-সংক্ষেপ:-নতুন বাঙ্গালা সাহিত্য সম্বন্ধে অধ্যাপক মোহিনীমোহন মুখোপাধ্যায়ের একটি গবেষণা এই যে, এই সাহিত্যকে নাকি ইব্রাহিম সাহিত্য নামে অভিহিত করা যাইতে পারে। অধ্যাপক বলিতেছেন,-“এক ব্রাহ্মণ যুবক একবার এইরূপ বিচিত্র পরিচ্ছেদে শোভিত হইয়া উৎসবগৃহে নিমন্ত্রিত ভদ্রলোকদের অশেষ বিষ্ময় উৎপাদন করিয়াছি। সেই বাহ্মণ যুবকটি বলিল, ‘মহাশয়গণ, আমার নাম ইব্রাহিম,-আমি না ইংরেজি, না ব্রাহ্মণ, না হিন্দু না মুসলমান-অথচ এই চারি জাতির সমন্বয়েই আমি ই-ব্রা-হি-ম।’ গল্পে কথিত এই ভদ্র যুবকটির মত, আমাদের বর্তমান বঙ্গভাষাকে যদি আমি ইব্রাহিম ভাষা বলি, আশা করি তাহা হইলে আপনারা ক্রুদ্ধ হইবেন না।”
অত:পর যদি প্রশ্ন উঠে,-তত:কিম্? অধ্যাপক তদুত্তরে একটি নাতিদীর্ঘ বক্তৃতা দিয়া সেই ‘আধুনিক বিরাট প্রশ্নটি’র ও ‘সমাধান চেষ্টা’ করিয়াছেন। অধ্যাপকের বক্তৃতা, যথা-“বায়োস্কোপের ছায়বাজীর মতো, গানের সুরের মতো, নদীর বীচিমালার মতো, এই জীবন ক্রমাগতই অগ্রসর হইয়া চলিয়াছে। ইহার যতি নাই, শেষ নাই। জীবনের ধর্মই এই যে, ইহা ডায়নামিক বা গতিশীল। জীবনের এই ডায়নামিক ভাব, জীবন মুকুর সাহিত্যেও প্রতিফলিত হইয়াছে। আমাদের সাহিত্য ডায়নামিক বলিয়াই আজ তাহা ইব্রাহিম। সুতরাং এ বিষয়ে আমাদের আক্ষেপের কারণ কি আছে? কিছু না। তবে একটা আক্ষেপ -যাক সে কথা।
বক্ষমাণ অধ্যাপক, সাহিত্যকে একটা প্রাণময় পদার্থ Living organism বলিয়াছেন। সাহিত্য একটা জীবন্ত পদার্থ। ইহার জীবন আছে কাজেই ইহার গতি আছে। আর এ নশ্বর সংসারে যেখানে ‘স্ফুটতরদোষা:’, -সেখানে গতি থাকিলেই উন্নতি ও অবনতির যুগপৎ অবসর আছে। এ কথা নিতান্ত নিরাকারবাদী ভিন্ন সম্ভবত: সকলেই রাজা রামমোহনের ভাষায়-“এই অনন্ত প্রকার বস্তু ও ব্যক্তি সংবলিত অচিন্ত্যনীয় রচনাবিশিষ্ট ঘটিকাযন্ত্র অপেক্ষা অতিশয় আশ্বর্য- ইত্যাদি’ যে পরিদৃশ্যমান জগৎ, তাহার মধ্যে লক্ষ্য করিয়া থাকিবেন।
NOTE- ৬ পৃষ্ঠার ‘ই-ব্রা-হি-ম’ সাহিত্য শিরোনামের সম্পূর্ণ প্রবন্ধটি পাঠ করতে উপরের লিংক থেকে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করুন।
Leave a Reply